সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার চালাতে হচ্ছে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নির্ধারণেও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছেন না। তা সত্ত্বেও আর এনডিএ না ছাড়ার অঙ্গীকার করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সাফ বলে দিলেন, "দুবার আরজেডির সঙ্গে গিয়ে ভুল করেছি। আর নয়। এবার চিরস্থায়ীভাবে এনডিএতেই থেকে যেতে চাই।"
শনিবার বিহারের তারারি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এনডিএ সমর্থিত বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে নীতীশ বলেন, "আগেও বলেছি, আবারও বলছি, এবার আমি স্থায়ীভাবেই এনডিএ-তে থাকব। আগে দুবার এদিক-ওদিক করে ফেলেছিলাম। ভুল করে আরজেডির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু এবার ফিরে এসেছি। আর সমস্যা হবে না। এবার থেকে এনডিএ-তেই থাকব।
আসলে কুর্সির অমোঘ টানে নীতীশের পালটি খাওয়া এখন কার্যত ‘জলভাত’ বিহারবাসীর কাছে। দিল্লির রাজনীতিতে নীতীশ এনডিএ সরকারের শক্ত হাত হয়ে উঠলেও বিহার বিজেপির একটি অংশ এতটুকু ভরসা করেন না ‘পল্টুরাম’ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের। বার বার এনডিএ থেকে ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া থেকে এনডিএ-র ঘরে দৌড়ে বেড়ানো সুযোগসন্ধানী নীতীশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিজেপিরই একাংশ। সম্ভবত সেই অংশটিকে বার্তা দিতেই নীতীশ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, নীতীশ ও নীতীশ ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপির একাংশ ক্ষুব্ধ হলেও, কেন্দ্রীয় সমীকরণে নরেন্দ্র মোদির কাছে নীতীশ এখন ‘সোনার টুকরো’ নেতা। তার কারণ লোকসভা নির্বাচনে ২৪০ আসন পাওয়া বিজেপির সরকার গড়ার অন্যতম কারিগর চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম এবং নীতীশের জেডিইউ-এর ১২ জন সাংসদ। তাই নীতীশ মনে করছেন বিহারের স্থানীয় নেতারা যতই তাঁর বিরোধিতা করুন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে উপেক্ষা করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে ২০২৫ সালে ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর সামনে।