সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স্ক মানুষদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সরকারি প্রকল্প আছে। কিন্তু, কিছুই জোটেনি তাঁর কপালে। তাই গত ১৯ বছর ধরে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য তৈরি শৌচালয়ে দিন কাটাচ্ছেন তামিলনাড়ুর ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা। মাদুরাইয়ের রামনাদ এলাকার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার নাম কারুপ্পায়ি।
[আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত চিদম্বরমকে গ্রেপ্তারি নয়, ইডির মামলায় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদুরাইয়ের রামনাদ এলাকার ওই শৌচালয়ে সাফাইকর্মীর কাজ করেন ওই বৃদ্ধা। সেই কাজ করে দিনে রোজগার করেন মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সামান্য টাকায় খাওয়াদাওয়া করার পর হাতে আর কিছুই থাকে না। তাই এত বছরেও মাথা গোঁজার কোনও ঠাঁই জোগাড় করে উঠতে পারেননি তিনি। তাই বাধ্য হয়ে ওই শৌচালয়কে নিজের বাসস্থান বানিয়ে নিয়েছেন। রান্না থেকে ঠাকুর পুজো সবকিছুর করার পর রাতে সেখানে শুয়ে পড়েন। স্থানীয় প্রশাসনকে সবকিছু জানানো হলেও কেউ কোনও সাহায্য করেনি। একমাত্র মেয়ে কোনও যোগাযোগ রাখে না। ফলে বাধ্য হয়ে পাবলিক টয়লেটেই থাকেন তিনি।
নিজের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে কারুপ্পায়ি বলেন, ‘বয়স্ক নাগরিকদের পেনশনের জন্য আবেদন জানিয়ে ছিলাম। তবে কোনও সাহায্য পাইনি। এর জন্য জেলাশাসকের অফিসে প্রচুর আধিকারিকদেরও অনুরোধ করেছি। কিন্তু, লাভ হয়নি। দিনে শৌচালয় পরিষ্কারের কাজ করে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পাই। এছাড়া অন্য কোনও রোজগারের উপায় নেই আমার। ফলে মাথা গোঁজার কোনও ব্যবস্থা করতে পারিনি। আমার একমাত্র মেয়েও কোনও খবর রাখে না। তাই বাধ্য হয়ে শৌচালয়েই ১৯ বছর ধরে বাস করছি।’
[আরও পড়ুন: ঋণ দিচ্ছে না ব্যাংক, ধার মেটাতে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন কৃষকের]
অবশ্য গত ১৯ বছরের নিস্তরঙ্গ জীবন আচমকা বদলে একটি টুইটের ফলে। কয়েকদিন আগে কারুপ্পায়ির এই দুর্দশার কথা ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন এক নেটিজেন। তারপর থেকেই এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন অন্য নেটিজেনরা। কেউ কেউ যেমন এই ঘটনার জন্য সরকারের সমালোচনা করছেন, তেমনই অনেকে অনুরোধ করেছেন কারুপ্পায়ির সমস্যা সমাধানের। মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকলেও তিনি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য নির্মিত শৌচালয়টি যেভাবে পরিষ্কার করেন তার প্রশংসাও করেছেন নেটিজেনরা।
The post জোটেনি কোনও ভাতা, ১৯ বছর ধরে শৌচালয়ই ঠিকানা বৃদ্ধার appeared first on Sangbad Pratidin.