সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের পর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্ক খানিক থিতিয়ে গেলেও দেশে মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অন্ত নেই। এখন নজরে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Masjid)। বুধবার বারাণসীর এক আদালতে জ্ঞানবাপীর ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি’ জানাল, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব নিষ্ঠুর ছিলেন না। ১৬৬৯ সালে বারাণসির কোনও আদি বিশ্বেশ্বর মন্দির ভাঙেননি তিনি। নিজেদের আবেদনে মসজিদ কমিটি ফের দাবি করেছে, জ্ঞানবাপীতে আদৌ কোনও শিবলিঙ্গ নেই। শিবলিঙ্গ বলে যেটিকে দাবি করা হচ্ছে, সেটি আসলে একটি ফোয়ারা।
মাঝে জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘শিবলিঙ্গে’র ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ করতে ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’কে নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে আদালত বলেছিল, এই পর্যবেক্ষণের সময় কোনও ভাবেই যেন ওই ‘শিবলিঙ্গে’র কোনও ক্ষতি না হয়। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। পরীক্ষার মাধ্যমে ‘শিবলিঙ্গ’টি কত পুরনো, সেটি বাস্তবিকই শিবলিঙ্গ কিনা ইত্যাদি বিষয় নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও পরে স্পর্শকাতরতার কথা মাথায় রেখে ওই ঐতিহাসিক স্থাপত্যের ওজুখানাায় থাকা ‘শিবলিঙ্গে’র বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা স্থগিত রাখে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: নতুন সংসদ তৈরির পরিকল্পনা হয় কংগ্রেস আমলেই! চাঞ্চল্যকর দাবি আজাদের]
এর মধ্যেই নতুন আবেদনে মসজিদ কমিটি জানিয়েছে, “মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব নিষ্ঠুর ছিলেন না। তিনি বা তাঁর নির্দেশে ১৬৬৯ সালে বারাণসীর ভগবান বিশ্বেশ্বর মন্দির ভাঙা হয়নি।” আরও দাবি করা হয়, “বারাণসীর অতীত বা বর্তমান কখনই কাশী বিশ্বনাথের দু’টি মন্দির (পুরানো এবং নতুন) থাকার ধারণা ছিল না।” আবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, জ্ঞানবাপী মসজিদ হাজার হাজার বছর ধরে রয়েছে। এটি একটি মসজিদ ছিল এবং আছে। বারাণসী এবং আশেপাশের জেলার মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা এখানে দীর্ঘ বছর ধরে বাধাহীন ভাবে প্রার্থনা করে আসছেন।
[আরও পড়ুন: শান্তি প্রক্রিয়া ভেস্তে ফের হিংসার আগুন মণিপুরে, মৃত ১, মন্ত্রীর বাড়িতেও তাণ্ডব]
উল্লেখ্য, ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’কে আদালত মসজিদ চত্বর জরিপ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়ার পরেই বিরোধিতায় সাম্প্রতিক পিটিশনটি দায়ের করে মসজিদ কমিটি। এর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বহিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনসলের কটাক্ষ, “মসজিদ কমিটির বক্তব্য হজম হবে না কারও। ঔরঙ্গজেব যদি এত বড় মসিহা হন তবে পুরাতত্ত্ব বিভাগের জরিপকে এত ভয় কেন?” উল্লেখ্য, জরিপ নিয়ে ২৬ মে শুনানি রয়েছে এলাহাবাদ হাই কোর্টে।