সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী আসারাম বাপুকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিল রাজস্থান হাই কোর্ট। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার দিকটি বিচার করে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। একই কারণে গত সপ্তাহে ওই ৩১ মার্চ অবধিই সুপ্রিম কোর্ট জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে। যদিও মঙ্গলবার আলাদা ধর্ষণের মামলায় জামিন দিল রাজস্থান হাই কোর্ট।
এদিন বিচারপতি দীনেশ মেহতা এবং বিচারপতি বিনীতকুমার মাথুরের বেঞ্চে মামলা উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্ট যে শর্ত দিয়েছিল আসারাম বাপুকে, সেই একই শর্তে (৮৫ বছরের ধর্মগুরু জেলের বাইরে থাকার সময় নিজের অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করা বা প্রমাণ লোপের চেষ্টা করতে পারবে না।) রাজস্থান হাই কোর্ট অন্তর্বর্তী জামিন দিল। এদিন আদালত জানায়, যেহেতু আসারাম অসুস্থ। তাই সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ধর্মগুরু জেল খাটছিলেন যোধপুরের সেন্ট্রাল জেলে। তবে অসুস্থতার কারণে যোধপুরেরই আরোগ্য মেডিক্যাল সেন্টারে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আসারাম বাপু। তাঁর হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে। একবার হৃদরোগে আক্রান্তও হয়েছিলেন। এর মধ্যেই তাঁকে গত ৭ জানুয়ারি জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার অন্য একটি ধর্ষণের মামলায় রাজস্থান হাই কোর্টও জামিন দিল। তবে নিরাপত্তা রক্ষীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাইরে থাকার সময় আসারাম বাপুকে নজরে রাখতে।
২০১৩ সালে যোধপুরের আশ্রমে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আসারামের বিরুদ্ধে। এর পর ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ইন্দোর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় ২০১৮ সালে যোধপুরের একটি আদালত ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করে। তারপর থেকে যোধপুরেই জেলবন্দি রয়েছেন আসারাম। এই মামলায় আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হয় স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুকে। মামলায় আসারামের পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন শিষ্যও অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁরা হলেন আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে নারায়ণ সাঁই, মেয়ে ভারতী। চার শিষ্যা ধ্রুববেন, নির্মলা, জাসসি ও মীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৫৪এ, ৩৭০ (৪), ৩৭৬, ৫০৬ ও ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল।