সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজ কি বদলাচ্ছে? কন্যাভ্রুণ হত্যার কদর্য অভ্যাস ছেড়ে শিশুকন্যাকে দত্তক (Adoption) নেওয়ার প্রবণতা কি বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে? এখনই পুরোপুরি তা বলা না গেলেও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কিন্তু আশা জাগাচ্ছে। গত অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়কালে গোটা দেশে দত্তক নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৯৯১টি শিশুকে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশুকন্যা। যাদের সংখ্যা ১ হাজার ৯৬৮। অর্থাৎ সিংহভাগই মেয়ে। যা শুনলে আশা জাগে। তবে কি দিন বদলাচ্ছে?
কেবল আগের বছরই নয়। দত্তক সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘সেন্ট্রাল অ্যাডপটেশন রিসোর্স অথোরিটি’র ওয়েবসাইটে ২০১৩-১৪ সাল থেকে যে পরিসংখ্যান রয়েছে, তা দেখলে চমকে উঠতে হয়। প্রতি বছরই শিশুপুত্র থেকে শিশুকন্যার দত্তক নেওয়ার সংখ্যা বেশি।
[আরও পড়ুন: ‘পর্ন ছবিতে অভিনয় করুন’, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে কটাক্ষের শিকার নুসরত]
তবে এই পরিসংখ্যানে উৎফুল্ল হওয়ার পাশাপাশি একটা শঙ্কার দিকও রয়েছে। একদিকে যেমন শিশুকন্যা দত্তক নেওযার সংখ্যা শিশুপুত্রের থেকে বেশি হচ্ছে, অন্যদিকে এটাও সত্য়ি যে পরিত্যক্তদের মধ্যে শিশুকন্যাদের সংখ্যাই বেশি। তবুও তাদের দত্তক নেওয়ার সংখ্যা যে বাড়ছে আপাতত তাতেই স্বস্তি ফেলছে ওয়াকিবহাল মহল।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশেষ সূত্র থেকে তারা জানতে পেরেছে দত্তক নিতে ইচ্ছুক দম্পতিদের যে ফর্ম পূরণ করতে হয়, সেখানে ছেলে না মেয়ে কোনটা তারা চায় তা জানতে চাওয়া হয়। সেই ফর্ম খতিয়ে দেখা গিয়েছে, ছেলের তুলনায় মেয়ে সন্তানের চাহিদা বেশি তা নয়। আবার উলটোটাও নয়। অর্থাৎ আলাদা করে ‘ছেলেই চাই’ এই মানসিকতায় বদল আসছে।
যদিও এই পরিস্থিতিতেও একটা অন্য ছবি সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে, প্রতি বছরই দত্তক নেওয়া শিশুদের সংখ্যা কমবেশি একই। অর্থাৎ দত্তকযোগ্য শিশুর সংখ্যা বাড়লেও দত্তকের সংখ্যা বাড়ছে না। তবে এর পিছনে আইনি জটিলতা ও আরও নানা বিষয় রয়েছে। আপাতত আশা, আগামিদিনে এই সংখ্যা নিশ্চয়ই বাড়বে। পরিত্যক্ত শিশুরা আরও বেশি করে অভিভাবকের স্নেহ পাবে। শিশুকন্যাদের দত্তক নেওয়ার পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দত্তক নেওয়া শিশুর সংখ্যাও বাড়ুক, সেদিকেই আপাতত লক্ষ্য ওয়াকিবহাল মহলের।