সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের সবথেকে বড় অভিযোগ জাতপাতের রাজনীতির। এছাড়াও, সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপিকে সংবিধান বিরোধী বলে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই অবস্থায় নিজেদের পন্থা থেকে সরে আসছে বিজেপি? কিছুটা সেরকমই ইঙ্গিত উত্তরপ্রদেশের বিজেপি প্রধানের মুখে। দলের অন্দরে জাতি ভিত্তক কোনও বৈঠক করা যাবে না বলে কড়া নির্দেশ জারি করেছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির নতুন প্রধান পঙ্কজ চৌধুরী দলীয় বিধায়কদের জাতি ভিত্তিক বৈঠক করা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর দাবি, এই ধরণের সমাবেশ দলের মূল্যবোধ এবং সংবিধানের পরিপন্থী। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে এই ধরণের যেকোনও প্রচেষ্টা শৃঙ্খলাভঙ্গ বলে গণ্য করা হবে।
বৃহস্পতিবার, এই বিবৃতি দিয়েছেন পঙ্কজ চৌধুরী। এর দু'দিন আগেই বিজেপির ব্রাহ্মন বিধায়কদের একটি নৈশভোজ হয়। কুশীনগরের বিধায়ক পি এন পাঠকের বাড়িতে এই বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দলের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করেন বিধায়ক এবং এমএলসি-রা। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে, উত্তরপ্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব একে "দলের সংবিধান এবং মূল্যবোধের বিরুদ্ধে" বলে অভিহিত করেছেন।
এই বৈঠক উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। বিরোধীরা বার বার দাবি করেছে রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে "সমস্যা" চলছে। বিধানসভার বাদল অধিবেশন চলাকালীন লখনউতে বিজেপির ক্ষত্রিয় বিধায়করা একই রকম একটি বৈঠক করে। সেই বৈঠকের সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠকের তুলনা শুরু করেছেন বিরোধীরা। এরপরেই তাঁদের দাবি অন্তরদ্বন্দ্ব চলছে গেরুয়া শিবিরে।
মেন্দাওয়ালের বিধায়ক অনিল ত্রিপাঠী জানিয়েছেন এই বৈঠকে সামাজিক এবং রাজনৈটিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কুশিনগরের বিধায়ক দাবি করেন এই বৈঠকে দলীয় বিষয়ে নয়, আসলে আলোচনা হয়েছে এসআইআর নিয়ে। যদিও, রাজনৈতিক মহলের দাবি, বৈঠকে প্রশ্ন ওঠে ভারত গঠনে ব্রাহ্মনদের অবদান থাকলেও আজকের যুগে ব্রাহ্মনরাই সমাজে হেনস্থার শিকার হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পঙ্কজ চৌধুরীর বিবৃতিতে বলা হয়, "বিজেপি নীতি ও মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি দল। দল এবং এর কর্মীরা পরিবার বা সমাজের কোনও নির্দিষ্ট অংশের জন্য রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।"
