সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নিয়ে দেশের মানুষের কাছে মতামত চাওয়া হল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন এক দেশ, এক নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটির পক্ষ থেকে পাবলিক নোটিস জারি করে এ বিষয়ে দেশের মানুষের কাছ থেকে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে মতামত জানাতে হবে।
নোটিসে বলা হয়েছে, দেশে লোকসভা (Lok Sabha Election) ও রাজ্য বিধানসভাগুলির এক যোগে নির্বাচন করার জন্য বর্তমানে যে পরিকাঠামো রয়েছে তাতে কি পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে, তা জানতে চেয়ে দেশের মানুষের কাছ থেকে লিখিত পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে। আমজনতার কাছ থেকে যে সমস্ত পরামর্শ পাওয়া যাবে তা কমিটির সামনে আলোচনার জন্য রাখা হবে। পরে সাধারণ নাগরিকদের মতামত সম্মিলিত করে রিপোর্ট তৈরি করবে কমিটি।
[আরও পড়ুন: মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে বিতর্কে মালদ্বীপ! ভারতীয়দের ‘উপহাস’ মুইজ্জুর দলের নেতার]
এক দেশ এক নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্কপ্রসূত এই পরিকল্পনার সব দিক খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। মোট ৮ সদস্যের ওই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।কমিটিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিকদের রাখা হয়েছে। যেমন রয়েছেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিং। তেমনই রয়েছেন লোকসভার প্রাক্তন সাধারণ সচিব সুভাষ কাশ্যপ এবং বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে। প্রাক্তন চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি।বিতর্ক এড়াতে কংগ্রেসের (Congress) লোকসভার নেতা হিসাবে অধীরকে চৌধুরীকেও রাখা হয়। যদিও অধীর পরে নিজেকে সেই কমিটি থেকে সরিয়ে নেন।
[আরও পড়ুন: ‘ছেলে ততদিনই নিজের থাকে যতদিন বউমা না আসে’, বলছেন দেশের ‘হবু প্রধান বিচারপতি’]
বস্তুত ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরই এক দেশ এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করা শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আবার বিরোধী শিবির শুরু থেকেই এর বিরোধী। তারা মনে করছে, এই প্রক্রিয়া চালু হলে রাজ্য নির্বাচনগুলিও জাতীয় ইস্যু দ্বারা প্রভাবিত হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রের নির্বাচনে যে বৈচিত্র থাকে, সেটাও হারিয়ে যাবে। যাতে আখেরে লাভ বিজেপির।