সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করানো কীভাবে সম্ভব? সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র যে কমিটি গড়েছিল, শনিবার প্রথমবার বৈঠকে বসল সেই কমিটি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) নেতৃত্বাধীন ওই কমিটির ৭ সদস্য এদিনের বৈঠকে যোগ দেন।
এক দেশ এক নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্কপ্রসূত এই পরিকল্পনার সব দিক খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। ওই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কমিটিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিকদের রাখা হয়েছে। যেমন রয়েছেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিং। তেমনই রয়েছেন লোকসভার প্রাক্তন সাধারণ সচিব সুভাষ কাশ্যপ এবং বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে। প্রাক্তন চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি। বিতর্ক এড়াতে কংগ্রেসের (Congress) লোকসভার নেতা হিসাবে অধীরকে চৌধুরীকেও রাখা হয়। রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদও রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবন আসলে মোদি মাল্টিপ্লেক্স! জয়রাম রমেশের খোঁচা ঘিরে শোরগোল]
কিন্তু নাম ঘোষণার পরই অধীর ওই কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। বহরমপুরের সাংসদের বক্তব্য, এই এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রক্রিয়া আসলে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। আর এই কমিটি গড়াটা আসলে আইওয়াশ। পুরোটাই আগে থেকে স্থির হয়ে আছে। তাছাড়া রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে কমিটি না রাখা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন অধীর। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা নাম তুলে নেওয়ায় তাঁকে ছাড়াই শনিবার বৈঠকে বসে ওই কমিটি।
[আরও পড়ুন: ছন্দে ফিরছে মণিপুর, ১০০ দিন পর চালু ইন্টারনেট পরিষেবা]
কমিটির কাজ হবে এই মুহূর্তে দেশে একসঙ্গে লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করানো সম্ভব কিনা সেটা খতিয়ে দেখা। সেক্ষেত্রে কী কী সমস্যা আসতে পারে, বা সেই সমস্যার সমাধান কী, সবটা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন কমিটি। জল্পমা শোনা হচ্ছে, কমিটি রিপোর্ট দিল সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল পেশ করা রাখা হতে পারে। মহিলা সংরক্ষণ বিল যেভাবে পাশ করিয়ে রাখলেও সেটা কার্যকর করা হচ্ছে না, এক দেশ এক নির্বাচন বিলও সেভাবেই পাশ করানোর চেষ্টা করবে মোদি সরকার। যাতে সেটাকে ভোটের ইস্যু হিসাবে ব্যবহার করা যায়।