সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “বিজেপিতে আসুন। সিবিআই-ইডির (ED) সমস্ত মামলা বন্ধ করে দেওয়া হবে।” বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক এই অভিযোগ দিনকয়েক আগেই করেছিলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। সেই দাবি আরও জোরালো হল আম আদমি পার্টির সাম্প্রতিক বয়ানে। আপের অভিযোগ, শুধু সিসোদিয়া (Manish Sisodia) নন, দলের অন্তত চারজন বিধায়ককে ভাঙানোর চেষ্টা করেছে বিজেপি। আর এক্ষেত্রে একেকজনকে ২০-২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ‘অফার’ করা হচ্ছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের দাবি, বিজেপি দিল্লিতেও ‘অপারেশন লোটাস’ অভিযান চালাচ্ছে। আপে’র বিধায়ক ‘ভাঙাতে’ ফোনে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ২০-২৫ কোটি টাকার প্রলোভন পর্যন্ত দেখানো হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, দিল্লির আপ সরকারের পতন ঘটানো। বুধবার আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) চার নেতা একযোগে সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগই করেছেন। আপ নেতা সঞ্জয় সিংয়ের বক্তব্য,”দিল্লির নির্বাচিত সরকার ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়ে গিয়েছে।” বিজেপি যেভাবে মহারাষ্ট্রে একনাথ শিণ্ডেকে ভাঙিয়েছে, তেমন ভাবেই দিল্লিতে সিসোদিয়াকে ব্যবহার করতে চাইছিল।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে ধরা পড়ে স্ত্রীর হাতে জুতোপেটা, দল থেকে বহিষ্কৃত যোগীরাজ্যের বিজেপি নেতা]
সঞ্জয় সিংয়ের দাবি, বিজেপি (BJP) সদস্যরা আমাদের বিধায়কদের হুমকি দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই ২০-২৫ কোটি টাকা নিন, নয়তো মণীশ সিসোদিয়ার মতো সিবিআই তদন্তের সম্মুখীন হন। কোন কোন বিধায়ককে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, সেটাও জানিয়েছে আপ। সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, দলের বিধায়ক অজয় দত্ত, সঞ্জীব ঝাঁ, সোমনাথ ভারতী এবং কূলদীপ কুমারকে এই ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সব প্রমাণ রয়েছে। সময়মতো প্রকাশ করা হবে। সঞ্জয় সিংয়ের এই দাবির পর খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে দাবি করেছেন,”দিল্লিতে অপারেশন লোটাস ব্যর্থ হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: দ্রুত অপরাধী ধরতে নয়া উদ্যোগ, আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে তৈরি ডেটা ব্যাংক ‘নাফিস’]
যদিও বিজেপি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপি নেতা পরভেশ বর্মা (Parvesh Verma) জানিয়েছেন, ‘‘নিজেদের দলের লোকজন দিয়েই ওই সব ফোন করা হচ্ছে। আপের অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনই নেই।’’আর সিসোদিয়ার দাবি নিয়ে তাঁর মন্তব্য–দুর্নীতির অভিযোগকে ধামাচাপা দিতেই সকলের নজর অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন সিসোদিয়া। এদিকে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সিসোদিয়া-সহ অভিযুক্ত অন্যদের বিরুদ্ধে পিএমএলএ (PMLA) আইনে মামলা রুজু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।