সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধীদের নিকেশ করতে পালটা ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। তাতে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে পাকিস্তান। রবিবার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট তথ্য দিল ভারতীয় সেনা।
ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তানে ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলায় শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে তিনজন শীর্ষ জঙ্গিনেতা। তারা হল ইউসূফ আজহার, আবদুল মালিক রাউফ এবং মুদস্সর খাস। জঙ্গিদের মধ্যে কেউ কেউ পুলওয়ামা হামলাতেও যুক্ত। তিনি আরও জানান, ৭-১০ মে-র মধ্যে প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কমপক্ষে ৩৫-৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানের অমানবিক চেহারা প্রকাশ্যে এনে এদিন তিনি আরও জানান, নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে বেশ কয়েকটি গ্রাম। গুরুদ্বারের মতো নানা ধর্মীয় স্থানে আঘাত করার চেষ্টা করেছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ডিজিএমও এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী জানান, ৯-১০ মে-র মধ্যে আকাশসীমার অভ্যন্তরে ড্রোন এবং বিমান ঢোকে পাকিস্তানের। বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পাকিস্তানি ইউএভি ও ড্রোন নিশানা করে জম্মু, উধমপুর, পাঠানকোট, জয়সলমের ও উত্তর লাই-সহ বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটিকে। সেই হামলা সফল হয়নি। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সমস্ত হামলাকারী ড্রোনকে ধ্বংস করে দেয়।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট জানানো হয় পাকিস্তানি সেনা বা সীমান্তের ওপারের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভারতের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। ভারত শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের বিরোধীরা। পাকিস্তান হামলা চালায় বলেই প্রত্যাঘাত। তবে রবিবার রাত বা তারপরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ভারতের তরফে পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে।
