সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে মোদি সরকারকে বিপাকে ফেলতে এককাট্টা বিরোধীরা। বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে লোকসভায় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করল কংগ্রেস, টিডিপি ও এনসিপি। বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। শুক্রবার আলোচনা হবে লোকসভায়। ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, ‘কে বলল, আমাদের কাছে সংখ্যা নেই?’ লোকসভা অনাস্থা প্রস্তাবের দিন, দলের সমস্ত সাংসদকে দিল্লিতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[সংসদে শুরু বাদল অধিবেশন, বিরোধীদের কাছে সহযোগিতার আরজি মোদির]
লোকসভায় বিজেপির বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তাই অনাস্থা প্রস্তাব এনে বিশেষ লাভ হবে না। সেকথা জানেন বিরোধী দলের নেতারাও। তাঁদের বক্তব্য, মোদি জমানায় পেট্রলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ভুল কৃষিনীতির কারণে দেশ জুড়ে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। অথচ স্রেফ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাতিয়ার করে সংসদে আলোচনা এড়িয়ে যেতে চাইছে সরকার। বাদল অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় এই ইস্যুগুলি তুলে ধরতে চাইছে বিরোধীরা। বস্তুত, বুধবার অধিবেশনের প্রথম দিনে মোদি সরকারের কৃষিনীতি নিয়ে সমালোচনা করেন টিডিপি সাংসদরা। এরপর একযোগে সরকারের বিরুদ্ধে্ অনাস্থা প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস, টিডিপি ও এনসিপি-র সাংসদরা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণও করেছেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে লোকসভায়। প্রয়োজনে ভোটাভুটি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
বাস্তব পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। তাঁর পালটা প্রশ্ন, ‘কে বলল, আমাদের কাছে সংখ্যা নেই?’ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, ২১ জুলাই অর্থাৎ শনিবার দলের শহিদ সমাবেশ হবে কলকাতায়। তাই শুক্রবার নয়, লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দিন পিছনোর আবেদন করেন এ রাজ্যের শাসক দলের সাংসদরা। কিন্তু, তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দিন দলের সাংসদদের দিল্লিতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। অধিবেশন শেষে ২১ জুলাই উপলক্ষে কলকাতায় ফিরবেন তৃণমূল সাংসদরা।
[‘হিন্দু পাকিস্তানের’ পর ‘হিন্দু তালিবান’, বিতর্ক উসকে ফের শিরোনামে শশী]
পর্যাপ্ত সাংসদ ছিল না। তাও ২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তখনও নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরাই লক্ষ্য ছিল বিরোধীদের। তারপর যমুনা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। গত ১৫ বছরে সংসদে সরকারের বিরুদ্ধে আর কখনও অনাস্থা প্রস্তাব আনেনি বিরোধীরা। সেদিক থেকে বুধবারের ঘটনাকে নজিরবিহীন বলা চলে।
[ভাঙতে দেওয়া হল না জানলার কাচ, অ্যাম্বু্ল্যান্সেই দম বন্ধ হয়ে সদ্যোজাতর মৃত্যু]
The post বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব পেশ বিরোধীদের appeared first on Sangbad Pratidin.