বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কেন্দ্রের শাসক ও বিরোধী দু’পক্ষই। একে অপরের জল মেপে নিতে চাইছে। তবে আজ-কালের মধ্যেই বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে। কারণ শনিবার বিজেপির সংসদীয় দলের ও পরের দিন এনডিএ’র (NDA) বৈঠক। তাঁর আগেই গেরুয়া শিবির প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে পারে।
অপরদিকে, রবিবার ১৭ জুলাই প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করে নাম চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসবে বিরোধীরা। তবে বৈঠকের স্থান ও সময় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার আগে গেরুয়া শিবিরের তরফে বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে (Rajnath Singh)। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), এনসিপি (NCP) নেতা শরদ পাওয়ার, মুলায়মপুত্র অখিলেশ যাদব-সহ কয়েকজনেক সঙ্গে কথা বললেও প্রার্থীর নাম বলেননি। তাই আগেভাগেই যশবন্ত সিনহাকে (Yashwant Sinha) প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করে দেয় বিরোধীরা। সেদিন রাতেই দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করে পদ্মশিবির।
[আরও পড়ুন: অন্তত ১৪ বার গর্ভপাত করতে জোর করেছিলেন লিভ-ইন পার্টনার! অবসাদে আত্মঘাতী যুবতী]
এবার শাসকদলের অপেক্ষায় বিরোধীরা। এমনটাই জল্পনা রাজধানীতে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নের শেষদিন ১৯ জুলাই। তাঁর দু’দিন আগে বিরোধীপক্ষ বৈঠকে বসতে পারে। কংগ্রেস বা তৃণমূলের মতো কোনও জাতীয়দল নয়। বিরোধী জোটে থাকা কোনও আঞ্চলিক দলের মহিলাকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে সুত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: আগামী বছরই CBSE’র মূল্যায়ন পদ্ধতিতে আসবে বদল, কী পরিবর্তন জানেন?]
১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পাশাপাশি শুরু হবে সংসদের বাদল অধিবেশন। ১৭ তারিখ সর্বদলীয় বৈঠক। ওইদিন সবদলের শীর্ষনেতৃত্ব সংসদের হাজির থাকবেন। সেই সুযোগে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেসের (Congress) তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাগড়েকে বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের তরফে সর্বদলীয় বৈঠকে লোকভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) ও রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন যোগ দেবেন। যেহেতু ওইদিনই বিরোধীরা বৈঠকে বসতে পারে তাই তাঁদের হাজির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবার বৃহস্পতিবার দলের রাজনৈতিক কৌশল ও সাংগাঠনিক বিষয় আলোচনা করতে প্রদেশ সভাপতি, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করে কংগ্রেস। সেখানে সংসদের বর্ষীকালীন অধিবেশনে দলের কৌশল ছাড়াও সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়।