সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোন শর্তে সংঘর্ষবিরতি? মার্কিন মধ্যস্থতা কি মেনে নিল ভারত? অবস্থান স্পষ্ট করতে সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি জানাল কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলছেন, "এটা স্পর্শকাতর বিষয়। এখনই কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে সর্বদল বৈঠকে আমরা সরকারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করব।"
গত শনিবারও ট্রাম্পের দাবি ছিল তিনিই যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছেন। বলেছিলেন, “গোটা রাত দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশই এই মুহূর্ত থেকে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। সঠিক সময়ে বাস্তবজ্ঞান কাজে লাগানোয় দুপক্ষকে শুভেচ্ছা।” তারপর সোমবার তাঁর দাবি, “পরমাণু শক্তিধর দুই দেশকে চাপ দিয়ে সংঘর্ষবিরতি করেছি। যুদ্ধ না থামালে বাণিজ্যেও না, হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম। তাতেই কাজ হয়েছে।” ট্রাম্প স্পষ্ট বলেন, আমিই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামিয়েছি। উভয় দেশের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন।
ভারত সরকার বরাবর বলে আসছে, ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বা কাশ্মীর ইস্যুতে কোনওভাবেই তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত নয়। অথচ চমকপ্রদভাবে ট্রাম্পের এই মধ্যস্থতার দাবি নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার নীরব। ভারত সরকার যেমন আমেরিকার মধ্যস্থতার দাবি মানেনি, তেমনি খণ্ডনও করেনি। সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার সময় বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরির কথায় উল্লেখ ছিল না আমেরিকার। আবার ট্রাম্পের দাবির পর অন্তত বার দুয়েক জনসমক্ষে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তিনিও ট্রাম্পের দাবি খণ্ডন করেননি। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শিবির প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি ট্রাম্পের দাবি মেনে নিল সরকার।
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি আগে থেকেই তুলছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। এবার সেই দাবি আরও জোরালো হচ্ছে। সেই সঙ্গে জোরালো হচ্ছে সর্বদল বৈঠকের দাবিও। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলছেন, "আমরা সিজফায়ার নিয়ে সর্বদল বৈঠকের দা দাবি জানাচ্ছি। ভারত কি মার্কিন মধ্যস্থতার দাবি মেনে নিল? ওই বৈঠক থেকেই সরকারকে প্রশ্ন করব।" কংগ্রেস সভাপতি বলছেন, "আমেরিকার সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে ভারতের, জানতে চাইব সরকারের কাছে।" খাড়গের সাফ কথা, এ হেন স্পর্শকাতর বিষয়ে বিরোধীদের সঙ্গেও আলোচনা করা উচিত সরকারের। এর আগে সরকারের সব পদক্ষেপে সঙ্গে থেকেছে বিরোধী শিবির।
