সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যালপাইন কোয়েস্ট! পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর চর্চায় উঠে এসেছে এই অ্যাপটি। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, জেহাদিদের পথ দেখিয়েছিল এই অফলাইন ট্র্যাকিং অ্য়াপ। হামলাকারীদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতেও সাহায্য করেছিল অ্য়াপটি। আর এই 'ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট' ধরেই খোঁজ চলছে জেহাদিদের।
অ্যালপাইন কোয়েস্ট হল নেভিগেশন অ্যাপ। সাধারণত গহন এলাকায় ট্রেকিংয়ের সময় নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। ফলে গুগল ম্যাপ দেখে পথ চিনে নেওয়া সম্ভব হয় না। সেই বাধা অতিক্রম করার পথ দেখিয়েছে অ্যালপাইন কোয়েস্ট। এই অ্যাপে একাধারে যেমন অফলাইনে ম্যাপ দেখা যায়। তেমনই এই ম্যাপ সেভও করে রাখা যায়। আগে কোনও পথে এসেছিল তাও মনে রাখে এই অ্যাপ। আর সহজেই সেই ডেটা পাঠিয়ে দেওয়া যায় অন্য ইউজারকে। তাও আবার অফলাইনে। অনলাইনে কোনও কাজ করলে তার ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট থেকে যায়। ফলে তাদের গতিবিধি খুঁজে বের করা সহজ হয়ে যায়। আর তাই জেহাদিরা নিজেদের অস্তিত্ব গোপন রাখতে অফলাইন মোডে থাকতে চায়। গোয়েন্দা সূত্রে খবব, জেহাদিদের পছন্দের অ্যাপ হয়ে উঠেছে এই অ্যালপাইন কোয়েস্ট। পহেলগাঁও হামলায় জঙ্গিরাও এই অ্যাপ ব্যবহার করেছিল বলেই সূত্রের খবর। যাতে হামলার পর গভীর জঙ্গলের রাস্তা ধরে পালানোর সময় পথ না হারায় তারা।
পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার। বিকেলে পহেলগাঁওয়ে এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রাণ যায় ২৬ জনের। অপারেশন চলাকালীন নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখার জন্য তাদের কাছে ছিল এনক্রিপ্টেড রেডিও ডিভাইস। যার মাধ্যমে অফলাইনে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছিল হত্যালালী চলাকালীন। মনে করা হচ্ছে, কখন ভারতীয় সেনা কোথায় থাকছে, কোথায় তাদের ঘাঁটি আছে, কখন সেখানে পাহারা বদল হয়, সব খুঁটিনাটি তথ্য ওই ছ'জনকে দিয়েছিল আইএসআই।
হামলাকারীদের যেটুকু ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে মুজফফরবাদ আর করাচির সেফ হাউস থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মতোই রিমোট কন্ট্রোল রুম ব্যবহার করা হয়েছিল এখানেও। যে সমস্ত সেফ হাউসগুলো ব্যবহার হয়েছে সেগুলি লস্কর-ই-তইবার ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। আর এই সেফ হাউসের সূত্র ধরেই খোঁজ শুরু হয়েছে পহেলগাঁওয়ে হামলাকারীদের।
