নন্দিতা রায় ও সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: চলতি বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের বিরোধিতায় সবচেয়ে বড় অস্ত্র ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ড বা পেগাসাস (Pegasus) ইস্যু। একে হাতিয়ার করেই অধিবেশেনের বাকি দিনগুলোয় কেন্দ্রকে চাপে রাখার কৌশল স্থির করছে ১৮ বিরোধী দল (Opposition parties)। বুধবার অধিবেশন শুরুর আগে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আলোচনায় বসলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। লোকসভা ও রাজ্যসভার সংসদীয় দলনেতাদের এই বৈঠকে অবশ্য তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি নেই। সূত্রের খবর, এদিন সংসদের দুই কক্ষে পেগাসাস নিয়ে আলোচনার দাবিতে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে পারেন বিরোধীরা। তার আগে স্ট্র্য়াটেজি ঠিক করে নিলেন তাঁরা।
দিল্লির রাজনীতি আপাতত সরগরম পেগাসাস নিয়ে। তারউপর এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বিভিন্ন বিরোধী দলের অন্দরেই কমবেশি তৎপরতা। বিজেপি বিরোধী জোটের সলতে পাকাতেই মমতার এই দিল্লি সফর। মঙ্গলবার তিনি কংগ্রেসের ৩ বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে দেখা করেন। আর বুধবার বিকেলে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে তাঁর ‘চায়ে পে চর্চা’। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে মমতার সাক্ষাতের পর এবার রাজনৈতিক মহল নজর সোনিয়া-মমতা বৈঠকের দিকেই। কংগ্রেসের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা আরও স্পষ্ট করতেই তৃণমূল নেত্রীর এই ম্যারাথন সাক্ষাৎ-বৈঠক কর্মসূচি (TMC-Congress)। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীদের সংসদীয় বৈঠকে তৃণমূলের অনুপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বটে।
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে একলাফে ৪৭% বাড়ল Corona সংক্রমণ, ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও]
এদিনের বৈঠকে রাহুল গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেসের তরফে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, জয়রাম রমেশ। এছাড়া জেডিইউ, সিপিআই নেতারাও ছিলেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারও বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। কিন্তু বুধবারের বৈঠক তাঁদের কাউকেই দেখা গেল না। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরই হয়ত কংগ্রেস-তৃণমূলের সম্পর্ক ঠিক কোথায় দাঁড়াবে, তা ঠিক হবে।