সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্যটন বিভাগের ওয়েবসাইট। অথচ তাতে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য বাদ দিয়ে ফলাও করে খাবারের ছবি। তাও যে সে খাবার নয়, লোভনীয় গোমাংসের ছবি। যে পদ কিনা এই মুহূর্তে বেশ বিতর্কিত। এখন কেরলের পর্যটন বিভাগের বিজ্ঞাপনে এই বিফের পদ দেওয়া ছবি নিয়ে যথারীতি বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
নিজেদের ওয়েবসাইটে কেরল পর্যটন দপ্তর স্থানীয় ‘বিফ উলারথিয়াতু’ অর্থাৎ সহজ ভাষায় বিফ ফ্রাইয়ের ছবি দিয়ে তার রেসিপিও লিখেছে। আর এতেই বিতর্কের আগুনে কার্যত ঘি পড়েছে। স্থানীয়দেরই একটা বড় অংশ এর বিরোধিতা করে লিখেছে, এই ছবি তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। কেউ কেউ পালটা টুইট করে লিখছেন, মকর সংক্রান্তিতে পোঙ্গল উৎসবের মরশুমে পর্যটক টানতে দপ্তরের এই ছবি। কিন্তু যেখানে গরু এবং অন্যান্য গবাদি পশুকে দেবজ্ঞানে পুজো করা হয়, সেখানে গোমাংসের মতো খাবারের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন করা দ্বিচারিতার পরিচয় দিচ্ছে। তাঁদের আরও কটাক্ষ, এই সময়ের বিফ ডিশ খুব একটা সুস্বাদু হবে না। এ নিয়ে টুইটারে বিরোধিতার বন্যা।
[আরও পড়ুন: পুলিশের মাথায় হাত, নিখোঁজ প্যারোলে মুক্ত মুম্বই বিস্ফোরণে সাজাপ্রাপ্ত ‘ড: বম্ব’]
এত সমালোচনার মুখে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন কেরলের পর্যটন মন্ত্রী কারাকামপল্লি সুরেন্দ্রন। তাঁর সাফাই, ”কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়কে ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। আর আমার বিশ্বাস, কেরলে কেউ ধর্মের সঙ্গে খাদ্যকে সম্পর্কিত করে না। একে ধর্মের রং দেওয়ার যে চেষ্টা চলছে, তা নিন্দনীয়।” সুরেন্দ্রনের আরও দাবি, ”যাঁরা এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন, তাঁরা খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন যে ওয়েবসাইটে প্রচুর পর্কের ছবি রয়েছে। বিফকে শুধুই গরুর মাংস বলে প্রচার করা হচ্ছে, কিন্তু বিফ মহিষের মাংসও। পর্ক, বিফ, মাছ এসবই কেরলে আগত পর্যটকদের খুব পছন্দের। এসব জনপ্রিয় পদের মতো আমরা কেরলের অন্যান্য আকর্ষণীয় বিষয়কেও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে তুলে ধরেছি। তাহলে শুধু এটি নিয়েই কেন বিতর্ক?”
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও একে ‘অর্থহীন বিতর্ক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে প্রশাসনিক কর্তাদের সাফাই যাইই হোক, পর্যটন বিভাগের ওয়েবসাইট এবং টুইটারে বিফের ছবি নিয়ে তর্কবিতর্ক ইতিমধ্যেই বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘দেবেন্দ্র সিংকে চুপ করাতেই মামলার তদন্তভার পাচ্ছে NIA’, কটাক্ষ রাহুলের]
The post পর্যটন বিভাগের ওয়েবসাইটে গোমাংসের ছবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় appeared first on Sangbad Pratidin.