সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীকে নিয়ে মশকরা করতে গিয়ে ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্তদেরই অপমান করে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তারপর থেকেই নেটদুনিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
[ভোটপ্রচারে ব্যস্ত নেতা-মন্ত্রীরা, শহিদের শেষকৃত্যে এলেন না সময়ের অভাবে]
আইআইটি খড়গপুরে স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনের ফাইনাল ছিল রবিবার। সেখানেই ভিডিও কনফারেন্সে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর তখনই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। দেরাদুনের এক পড়ুয়া তাঁর প্রজেক্ট তুলে ধরছিলেন মোদির সামনে। যার মূল বিষয়বস্তু ছিল ডিসলেক্সিয়া রোগ নিয়ে। সেই ছাত্রী ব্যাখ্যা করছিলেন, অনেক শিশুর মধ্যেই এই বিকার থাকে। যার ফলে লেখাপড়া শিখতে, অক্ষর চিনতে, বই পড়তে সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু তাদের মধ্যেও সৃজনশীলতার গুণ বর্তমান। অনেকে ভাল ছবি আঁকতে পারে, আবার অনেকে নানা হাতের কাজে পারদর্শী হয়। পড়ুয়ার ব্যাখ্যার মাঝেই মোদি প্রশ্ন করেন, তাঁর এই প্রকল্প কি ৪০ থেকে ৫০ বছরের শিশুদের সাহায্য করবে? পড়ুয়া ইতিবাচক উত্তর দিলে মোদি হাসি মুখে বলে ওঠেন, তাহলে তো এধরনের বাচ্চাদের মায়েরা খুবই খুশি হবেন। অর্থাৎ, নাম না করেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেন মোদি। কিন্তু যে ভঙ্গিতে তিনি মশকরা করেছেন, তা একেবারেই পছন্দ হয়নি নেটিজেনদের। মোদির এই মন্তব্যের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকে লিখেছেন, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি থেকে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন- প্রত্যেকেই ছোটবেলায় ডিসলেক্সিয়ায় ভুগেছেন। তাই মোদির মুখ থেকে এধরনের মন্তব্য আশা করা যায়নি। অনেকেই মনে করছেন, অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনেদর মতো কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
[শহিদদের বলিদানে চুপ থাকে না ভারত, গুনে গুনে হিসাব নেয়: নরেন্দ্র মোদি]
২০১৫ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল দেশের ১৫ শতাংশের মধ্যে ডিসলেক্সিয়া লক্ষণ রয়েছে। এমন বিকারগ্রস্থদের অসম্মানকরার বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তবে এনিয়ে এখনও পর্যন্ত আর কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মোদি।
The post ডিসলেক্সিয়া রোগীদের ‘অসম্মান’ প্রধানমন্ত্রীর, নেটদুনিয়ায় নিন্দার ঝড় appeared first on Sangbad Pratidin.