shono
Advertisement

উত্তরাখণ্ডের ধসে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ! পাশে থাকার বার্তা মোদি-মমতার, শুরু উদ্ধারকাজ

কংগ্রেস নেতাদেরও ত্রাণকাজে হাত লাগানোর নির্দেশ রাহুলের।
Posted: 03:42 PM Feb 07, 2021Updated: 03:59 PM Feb 07, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার সকালে বিরাট তুষার ধস (Glacier breaks) উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। জলের তোড়ে ভেসে গেল বহু ঘরবাড়ি। অন্তত দেড়শো জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধারকার্যে রয়েছে অন্তত ৪০০ জন সেনাকর্মী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) টুইট করে সকলের নিরাপদে থাকার প্রার্থনা করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর।

Advertisement

রবিবার দুপুরে তিনি টুইটারে লেখেন, ”আমি নিয়মিত নজর রেখে চলেছি উত্তরাখণ্ডের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির দিকে। ভারত উত্তরাখণ্ডের পাশে রয়েছে। গোটা দেশ প্রার্থনা করছে, যেন সকলে সেখানে নিরাপদে থাকতে পারেন। সিনিয়র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লাগাতার কথা বলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকাজ সম্পর্কে সব আপডেট নিচ্ছি।”  ‘অসম মেলা’য় যোগ দিতে অসমে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই উত্তরাখণ্ডের তুষার ধসের কথা শোনেন। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah)। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরও কথা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের এই দেবভূমিকে সব রকম সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধস, ভেসে গেল বহু ঘরবাড়ি! জারি সতর্কতা]

টুইট করেছেন রাহুল গান্ধীও (Raul Gandhi)। কংগ্রেস নেতা উত্তরাখণ্ডের মানুষদের তাঁর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে আরজি জানিয়েছেন, যেন দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হয়। পাশাপাশি কংগ্রেস নেতাদেরও ত্রাণকার্য শুরু করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধসের কবলে মৃত্যু প্রসঙ্গে গভীর শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছেন তিনি।

এদিকে জলস্তর দ্রুত বাড়ছে ধৌলিগঙ্গা নদীর। নদীর তীরে অবস্থিত রেনি গ্রামে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। রেনি গ্রামে ঋষিগঙ্গা প্রকল্প তছনছ হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ওই প্রকল্প নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল গ্রামবাসীর। এই নিয়ে জনস্বার্থে মামলা পর্যন্ত দায়ের হয়েছিল উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টে। প্রকল্পের জেরে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই মুহূর্তে পর্যটকদের জন্য ভরা মরশুম হরিদ্বার-ঋষিকেশে। সেখানকার জলস্তর বাড়ার আশঙ্কায় বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: সরকারের সমর্থনে শচীন-লতাদের টুইট করতে বাধ্য করেছে কেন্দ্র, ঘুরিয়ে কটাক্ষ রাজ ঠাকরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement