সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নতুন মন্ত্রিসভার রাজ্যওয়াড়ি এবং জাতিগত সমীকরণের দিকে নজর রাখলেই বোঝা যাবে, এবারের মন্ত্রিসভার রদবদল মূলত হয়েছে আগামী বছরের কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচন এবং সর্বোপরি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে। আগামী বছরের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ভোট হবে উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, গোয়া, মণিপুরেও। আগামী বছরের শেষের দিকেই নির্বাচন প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাট এবং হিমাচলপ্রদেশে। মন্ত্রিসভার রদবদলে আগামী বছরের এই নির্বাচনগুলিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অবশ্যই সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে আগামী লোকসভা নির্বাচন (2024 Lok Sabha)।
আর সেই লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই আগামী ১০ আগস্ট থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে লাগাতার তিনদিন বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে হতে চলা মন্ত্রীপরিষদের ওই বৈঠক কিন্তু আর পাঁচটা মন্ত্রিসভার বৈঠকের মতো নয়। বরং, ওই বৈঠকে ২০২৪ সালে জয়লাভের লক্ষ্যে সরকার কোন বিষয়গুলিতে অগ্রাধিকার দিয়ে এগোতে চাইছে, সেই রূপরেখা তৈরি করে দিতে চান প্রধানমন্ত্রী। কঠিন পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন, কাজের সুযোগ, এবং প্রশাসনিক ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কী ভাবে কাজ করতে হবে, সরকার নতুন মন্ত্রীদের কাছ থেকে কী কী প্রত্যাশা করে সবটাই স্পষ্ট করে দিতে চান প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: অসমেও ‘খেলা’ শুরু, TMC-তে যোগ দিতে পারেন CAA বিরোধী জনপ্রিয় নেতা Akhil Gogoi]
আসলে, প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানেন চব্বিশের লড়াই খুব একটা সহজ হবে না তাঁর জন্য। সম্ভবত সেকারণেই প্রায় আড়াই বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। আসলে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার দু’বছরের মধ্যে রীতিমতো সমস্যায় জর্জরিত কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। একদিকে পেগাসাস (Pegasus) ইস্যুতে সংসদ অচল করে রেখেছে বিরোধীরা। অন্যদিকে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকদের একটা বড় অংশ। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, করোনা, বেকারত্বের মতো ইস্যু তো আছেই। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠককে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।