হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসের তিন স্তম্ভ—ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী। তাঁদের স্মৃতিতে তৈরি হল ‘রাষ্ট্র প্রেরণা স্থল’। আজ ২৫ ডিসেম্বর, অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মজয়ন্তীতে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে এই বিশাল স্মারকটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
লখনউয়ের বসন্তকুঞ্জ এলাকায় পদ্মফুলের আদলে তৈরি হয়েছে এই বিশেষ চত্বরটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রায় ২ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে শহরজুড়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল প্রশাসন।
এই প্রকল্পের প্রধান আকর্ষণ হল ৬৫ ফুট উচ্চতার তিন ব্রোঞ্জ মূর্তি। বিশ্বখ্যাত ভাস্কর রাম সুতার এবং মন্টু রাম আর্ট ক্রিয়েশন এই মূর্তিগুলি তৈরি করেছেন। রাতের আলোকসজ্জা ও প্রোজেকশন ম্যাপিংয়ে মূর্তিগুলো যেন জীবন্ত রূপ নিয়েছে। এছাড়া চত্বরের জাদুঘরে ম্যুরাল আর্টের মাধ্যমে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের যাত্রাপথ ফুটিয়ে তোলা হয়। জাদুঘরের আঙিনায় বসানো হয়েছে ‘ভারতমাতা’-র মূর্তিও।
এই চত্বরে যোগ কেন্দ্র, ধ্যান কেন্দ্র এবং ৩০০০ আসন বিশিষ্ট একটি অ্যাম্ফিথিয়েটার রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জানান, এই প্রেরণা স্থল কেবল একটি স্মৃতিসৌধ নয়, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেমের সঞ্চার করবে। জাদুঘরের গ্যালারিগুলিতে এই মহান নেতাদের জীবন ও সংগ্রামের কাহিনি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। লখনউয়ের এই নতুন স্থাপনাটি এখন ভারতের জাতীয় চেতনার এক নতুন ঠিকানায় পরিণত হল।
