সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারুদের স্তুূপে আগুন লাগে ত্রিপুরা থেকেই। লেনিনের মূর্তি খান খান হতেই দেশ জুড়ে শুরু হয় মূর্তি ভাঙার পালা। এহেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা রুখতে এবার আসরে নামল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
[ত্রিপুরায় খান খান লেনিনের মূর্তি, টুইট করে বিতর্কে রাজ্যপাল তথাগত রায়]
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মূর্তি ভাঙা ও রাজনৈতিক হামলা রুখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে কড়া নির্দেশ দিয়েছে পিএমও। তারপরই রাজ্যগুলির উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেখানে সাফ বলা হয়েছে, মূর্তি ভাঙচুর রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিক প্রশাসন। হামলাকারীদের যেন কোনওভাবে রেয়াত না করা হয়। জানা গিয়েছে, দেশ জুড়ে চলা এই অরাজকতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিহাসকে বিকৃত করা কখনওই সমর্থন করেন না তিনি। পিএমও-র এক শীর্ষ অধিকারিক জানান, মূর্তি ভাঙার ঘটনার উপর নিজে নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী।
ত্রিপুরায় ঐতিহাসিক পালাবদলের পর সোমবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় লেনিনের একটি মূর্তি। ওই ঘটনায় দেশ জুড়ে বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। কলকাতায় এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামে বামেরা। ত্রিপুরায় ‘গুন্ডারাজ’ চালাচ্ছে বিজেপি বলেও অভিযোগ জানান তাঁরা। তবে ত্রিপুরায় না গিয়ে মহানগরের রাস্তায় কমরেডদের প্রতিবাদ হাস্যকর বলেই মনে করছেন অনেকে। এই ঘটনার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন, যে মূর্তি ভাঙা মেনে নেওয়া হবে না, বুধবার সাতসকালে টালিগঞ্জের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির একাংশ ভাঙা হয়। মাখানো হল কালি। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ, হামলাকারীরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া।
এদিকে মূর্তি ভাঙা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যেই লেনিনের মূর্তি ভাঙার একপ্রকার সমর্থন করেই টুইট করেছেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। কমিউনিস্ট প্রাণপুরুষকে বিদেশী সন্ত্রাসবাদী বলেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। পালটা ‘লাল’ বাহিনীর হুঙ্কার লেনিন গিয়েছে, এবার রাম থাকবে তো? সব মিলিয়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল না দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[জনগণ চাইলে নেতৃত্বহীন তামিলনাড়ুর নেতা হবেন রজনীকান্ত]
The post রাজ্যে রাজ্যে মূর্তি ভাঙার হিড়িক, অরাজকতা রুখতে নির্দেশ কেন্দ্রের appeared first on Sangbad Pratidin.