স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা বিরোধীদের চিঠিতে তাঁর নাম ছিল। এবার ভারত রাষ্ট্র সমিতির পোস্টারেও জ্বলজ্বল করছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ছবি। তৃণমূল কংগ্রেসের সুরেই শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) বিঁধে পোস্টার পড়েছে হায়দরাবাদে।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (KCR) কন্যা কে কবিতাকে ইডির তলবের পর বঙ্গ শাসকদলের ‘ওয়াশিং মেশিন’ মডেল ধার করে ভারত রাষ্ট্র সমিতি শুরু করেছে ‘রেইড ডিটারজেন্ট’ পাউডারের প্রচার। তেলেঙ্গানার পথেঘাটে লাগানো হয়েছে পোস্টার। প্রথমে বেশ কিছু পোস্টারে দেখা গিয়েছিল হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma), জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াদের ছবি। এবার নয়া পোস্টারে সিন্ধিয়া, হিমন্তদের পাশে ঠাঁই হয়েছে এরাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর সমস্যার ‘ভিলেন’ কি নেহরুই? ইতিহাসের গোপন নথি দেয় ‘অন্য’ ইঙ্গিত]
পোস্টারে দেখা যাচ্ছে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিভিন্ন রাজ্যের এমন বিজেপি নেতাদের ছবি, যাঁদের বিরুদ্ধে একসময় দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল বিজেপি (BJP)। বিভিন্ন কাপড় কাচার সাবানের বিজ্ঞাপনী প্রচারকে ধার করে বিআরএসের অভিনব প্রচার বেশ নজর কেড়েছে। একটি বিখ্যাত ডিটারজেন্ট পাউডারের বিজ্ঞাপনের নকল করে পোস্টার দেওয়া হয়েছে হায়দরাবাদে। যাতে দেখা যাচ্ছে হাসিমুখে সাদা রংয়ের ফ্রক পরে দাঁড়িয়ে আছেন প্রথম সারির দলবদলু নেতারা। সেই তালিকায় আছেন শুভেন্দু অধিকারীও। বোঝানো হয়েছে, বিজেপির এই ওয়াশিং পাউডার ব্যবহার করলেই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ নেতারা হয়ে যাচ্ছেন শুদ্ধ।
[আরও পড়ুন: ‘প্রযোজকের ইনকাম সার্টিফিকেট দেখেন নাকি?’, দুর্নীতিতে টলি-যোগে অভিনেতাদের পাশেই শতাব্দী]
উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার কেসিআর কন্যাকে সমন করে ইডি। তবে সেদিন সংসদে মহিলা সংরক্ষণ আইন প্রণয়নের দাবি সংক্রান্ত পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থাকায় নতুন তারিখ দেওয়ার আবেদন করেন কবিতা। ফলে তাঁকে শনিবার দেখা করতে বলা হয়। সেইমতো এদিন সকাল ১১টায় ইডি সদর দফতর প্রবর্তন ভবনে যান কবিতা। প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, ইডির (ED) কাছে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যবসায়ী অরুণ রামচন্দ্রণ পিল্লাইয়ের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। তেলেঙ্গানায় সুবিধা করতে না পেরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই হেনস্তা করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী কন্যাকে। এই দাবিতে এদিন ইডি দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিআরএস (BRS) কর্মী-সমর্থকরা। তবে আগে থেকেই তৈরি ছিল দিল্লি পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী। কড়া নিরাপত্তা ভেদ করে প্রবর্তন ভবন পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি বিআরএস অনুরাগীরা।