সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতার পর ৩ বার নিষিদ্ধ সংগঠনের তকমা জুটেছে। তথাকথিত উদারপন্থীদের কাছে এখনও অচ্ছুত আরএসএস! বস্তুত স্বাধীনতার পর কোনও প্রধানমন্ত্রী আরএসএসের কোনও অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেননি। এবার সেই কাজটাই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আরএসএসের অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন তিনি।

রবিবার নাগপুরের রেশমিবাগে আরএসএসের সদর দপ্তরের কাছে স্মৃতি মন্দির দর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা জানালেন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে। আরএসএসের প্রতিপদ অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন তিনি। আরএসএসের ওই অনুষ্ঠানে এই প্রথম পদে থাকা অবস্থায় কোনও প্রধানমন্ত্রী অংশ নিচ্ছেন। সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবতও।
আরএসএসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নাড়ির টান। দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচারক হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একবারও সংঘের কোনও অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দেননি তিনি। একা মোদি কেন, এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রীই আরএসএসের অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে যোগ দেননি। এ বছর শতবর্ষ উদযাপন করছে সংঘ। সেই উপলক্ষে বছরভর নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে আরএসএসের তরফে। হেডগেওয়ারকে শ্রদ্ধা জানানোর সংঘের একটি চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন তিনি।
শোনা যাচ্ছে, রবিবারই চূড়ান্ত হতে চলেছে বিজেপির পরবর্তী সর্বভারতীয় সভাপতির নাম। নাগপুরে মোদি-মোহন ভাগবতের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন। সেই বৈঠকেই বিজেপির পরবর্তী সভাপতি পদের জন্য নতুন নাম চূড়ান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন সভাপতির নাম ঠিক হলেও তা ঘোষণা করা হবে কিছুদিন পরেই। এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, দেশের সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপির রাজ্য সভাপতিদের বৈঠকে ডেকেছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষের আগে সকলের সঙ্গে বিদায় বার্তা সেরে নিতেই এই বৈঠক ডেকেছেন নাড্ডা। সেই বৈঠকের পরে ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করবে বিজেপি।