সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে যাওয়ার যাবতীয় খরচের হিসেব চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (Central Information Commission) পক্ষ থেকে। স্পেশ্যাল ফ্লাইট রিটার্নস-টু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে এবার আপত্তি জানিয়ে ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল ভারতীয় বায়ুসেনা।তাদের যুক্তি, এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। তাই এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনা যাবে না।
২০১৩ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohon Singh) ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিদেশ সফর সংক্রান্ত নথি চেয়ে আবেদন করেছিলেন কমোডর (অবসরপ্রাপ্ত) লোকেশ বাত্রা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উড়ান সংক্রান্ত বিল, ইনভয়েস ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। এবং ৮ জুলাই তাঁকে সেই তথ্য জানানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। এ বিষয়ে দিল্লি হাই কোর্টে বায়ুসেনার (Indian Air Force) দাবি, “যে সমস্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পুরো আনুষঙ্গিক তথ্য, বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) সদস্যদের নাম-সহ নানা বিষয়। যেগুলি সামনে এলে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হতে পারে। দেশের সুরক্ষা, কৌশলগত, বৈজ্ঞানিক বা অর্থনৈতিক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে পারে।” কেন্দ্রের প্যানেলে থাকা সিনিয়র আইনজীবী রাহুল শর্মা এবং সি কে ভাট এই আবেদন করেছেন। তাঁদের দাবি, বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। কারণ, এই তথ্যগুলি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। শুক্রবার এই আবেদনের শুনানি হতে পারে।
[আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভের নেপথ্যে চিন-পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র! এবার বললেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশযাত্রা নিয়ে একটা সময় বিস্তর প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশযাত্রা করে দেশের কোন উপকার হচ্ছে? বহুবার সে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে মোদি সরকারকে। বস্তুত, প্রথমবার ক্ষমতায় এসে নরেন্দ্র মোদি এমন কিছু দেশে গিয়েছেন যে সব দেশের সঙ্গে হয়তো আগে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্কই ছিল না ভারতের। সেই সব বিদেশযাত্রায় বিমানের খরচ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যই এবার দিতে আপত্তি জানাল বায়ুসেনা।