সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) দাপটে বিধ্বস্ত গোটা দেশ। ভাইরাস রুখতে মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার এবং দূরত্ববিধি মেনে চলাই ব্রহ্মাস্ত্র। তাই এখন প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না কেউই। ঘরবন্দি থাকছেন প্রত্যেকেই। এই পরিস্থিতিতে করোনার টিকা নিলেই বিলাসবহুল হোটেলে থাকা-খাওয়ার এলাহি আয়োজন করেছিল বহু বেসরকারি হাসপাতাল। ঠিক কীরকম ছিল সেই আয়োজন? ধরুন আপনি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করোনার ভ্যাকসিন নেবেন। ওই বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে কোনও বিলাসবহুল হোটেল গাঁটছড়া বেঁধেছে। সেই অনুযায়ী যিনি ভ্যাকসিন নেবেন তাঁর জন্য থাকা, খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছিল। এমনকী তিনি পাবেন ওয়াই ফাইয়ের পরিষেবাও।
তবে বেসরকারি হাসপাতালের এই ‘ভ্যাকসিন প্যাকেজে’ই (Vaccine Package) এবার রাশ টানতে চলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল কোনও ব্যক্তিকে এই ধরনের ভ্যাকসিন প্যাকেজ দিতে পারে না। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেও কোনও বেসরকারি হাসপাতাল কাউকে ‘ভ্যাকসিন প্যাকেজ’ দিলে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলেই উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এ বিষয়ে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: দেশের করোনা সংক্রমণের নিম্নমুখী গ্রাফ অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্ত নামল ১ লক্ষ ৬৫ হাজারে]
উল্লেখ্য, কোভিড যুদ্ধে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে শুরু হয়েছে টিকাকরণ (Vaccination)। গত সাড়ে চার মাসে এখনও পর্যন্ত কুড়ি কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকাকরণ নিয়ে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর শুক্রবারই বলেন, “ভারতে টিকাকরণ ২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এবিষয়ে ব্লু প্রিন্টও তৈরি হয়ে গিয়েছে। যাতে ১০৮ কোটি দেশবাসীর জন্য ২১৬ কোটি টিকার ডোজ দেওয়ার কাজ ডিসেম্বরের মধ্যেই হয়ে যাবে।” শুরুর তুলনায় মে মাস পর্যন্ত করোনার টিকাকরণের গতি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সন্দেহ, বাকি সাত মাসে আশি কোটির বেশি মানুষের ভাগ্যে টিকা জুটবে কীভাবে? কারণ, সময়ের সঙ্গে টিকার হিসাব নিয়েও সংশয় তৈরি হচ্ছে।