সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি সরকার নতুন করে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পরই দেশে নিষিদ্ধ হয়েছিল ‘তিন তালাক’ (Triple talaq) প্রথা। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশে চতুর্থ স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন রাজস্থানের এক ব্যক্তি। এরপরই ৩২ বছর বয়সি ইমরান নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, একটি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে আলাপ হয়েছিল ইমরান ও ওই মহিলার। সেখান থেকে বিষয়টা গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। মহিলার আগের পক্ষের সন্তানদের দেখভাল করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন ইমরান। কিন্তু অভিযোগ, ঘুণাক্ষরেও তাঁর নিজের যে তিনটি বিয়ে রয়েছে তা জানাননি তিনি। কিন্তু সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পেরে যান ইমরানের চতুর্থ স্ত্রী। এরপরই শুরু হয় সমস্যা। রাজস্থানের বাসিন্দা ইমরান হঠাৎই মোবাইলে টেক্সট মেসেজে জানিয়ে দেন, ”তালাক, তালাক, তালাক।”
[আরও পড়ুন: খোদ দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধানের শ্লীলতাহানি, গাড়িতে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেল মদ্যপ]
উল্লেখ্য,প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২২ অগস্ট তিন বার ‘তালাক’ শব্দে বিবাহ বিচ্ছেদ রীতিকে অসংবিধানিক ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। স্বামী পরিত্যক্তা পাঁচ মুসলিম মহিলার করা আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। এরপর ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সংসদে পাশ হওয়ার পরে দেশে নিষিদ্ধ তিন তালাক। সেই থেকে তিন তালাক ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়। এই আইন ভঙ্গ করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু এরপরও ইমরানকে দেখা গেল তিন তালাক দিতে।
ইমরানের চতুর্থ স্ত্রী দ্বারস্থ হন পুলিশের। দ্রুতই মুসলিম মহিলা (বিয়ের অধিকার রক্ষা) আইনে মামলা রুজু হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু ইমরান শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার হননি।