ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একুশের নির্বাচনে বিজেপির ব্যর্থতার পর গেরুয়া শিবির ছেড়ে একাধিক নেতা শাসক দলে ফিরেছেন। সেই তালিকায় রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) অন্তর্ভূক্তি নিয়ে এখনও জল্পনা চলছে। বিজেপিতে থেকেও তাঁকে দলবিরোধী মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। এমনকী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের প্রয়াণেও তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজীব। যা নিয়েও তীব্র জলঘোলা হয়। আর এবার একেবারে চুপিসারে ত্রিপুরা পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। আর তাতেই নতুন করে দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আগরতলায় গোপন আস্তানায় রয়েছেন রাজীব। সেখানে আবার তৃণমূল নেতৃত্বও রয়েছেন। তবে এই সফর একেবারেই ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছেন রাজীব। তাঁর কথায়, অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেবেন। তাই গতকাল দিয়েছেন। এই সফরের সঙ্গে তৃণমূল (TMC) বা বিজেপির (BJP) কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু যে সময় ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করে বারবার তৃণমূল নেতৃত্ব ত্রিপুরায় যাচ্ছেন, তখনই রাজীবের এহেন ‘ইচ্ছা’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
[আরও পড়ুন: তৃতীয় বিকল্প নয়, BJP হঠাতে ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসের সঙ্গেই জোটের ইঙ্গিত TMC’র]
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় (Tripura) ২০১৮ সালে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে একাধিকবার গিয়েছিলেন রাজীব। তখন তিনি রাজ্যের মন্ত্রী, অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তারপর গঙ্গায় জল বহুদূর গড়িয়েছে। রাজ্যে একুশের ভোটে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এবং হার। তার পর থেকেই আবার তৃণমূলের সঙ্গে সখ্য বেড়েছে রাজীবের। সম্প্রতি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক জল্পনা তা আরও স্পষ্ট করেছে। সূত্রের খবর, সময় হলেই তৃণমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর ফেরার সিগনাল সবুজ হবে। আর আনুষ্ঠানিকভাবে তা হতে পারে দুর্গাপুজোর পর। এবং তাঁকে ত্রিপুরার দায়িত্বই আবার দেওয়া হতে পারে বলে খবর। ইঙ্গিত পেয়ে কি তাই আগে থেকেই জমি মাপছেন রাজীব? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
এর মধ্যে ভবিষ্যতের রাজনীতি নিয়ে মুকুল রায়ের মতো জল্পনা উসকে দিয়েছেন স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে। রাজীব বলেছেন, কিছু সময় চুপ করে থাকতে হয়। সঠিক সময় জানা যাবে কী হবে। ভবিষ্যতে সবটা পরিষ্কার হবে।