বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: এপিক বা সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার মৌখিক হলেও আশ্বাস মিলল। আগামী সপ্তাহে রাজ্যসভায় এপিক নিয়ে স্বল্পমেয়াদি আলোচনা সম্ভাবনা দেখছে রাজ্যের শাসকদল। অন্যথায় সুর আরও চড়ানোর ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের।

বুধবারও তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংসদের উভয় কক্ষে এপিক নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দেওয়া হয়। সঙ্গে রাজ্যসভায় তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং উপ-দলনেতা সাগরিকা ঘোষ রাজ্যসভায় তৃণমূলের তরফে ২৬৭ নম্বর নিয়মে দেওয়া নোটিসের পরিবর্তে ১৭৬ নম্বর নিয়মে স্বল্পকালীন সময়ের আলোচনায় জন্য অনুমতি দেওয়া হোক বলে দাবি করেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় নিজের অধিকারবলে তা করতে পারেন সেকথা উল্লেখ করে অনুরোধও করেন সুখেন্দু। তাতে ধনকড় ভালো প্রস্তাব বলে মন্তব্য করেন। আর তাতেই আশার আলো দেখছে তৃণমূল শিবির।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্র বিষয়ক আলোচনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার তা শেষ হবে। শুক্রবার প্রাইভেট মেম্বার বিলের জন্য সময় বরাদ্দ থাকে। তাই আগামী সপ্তাহে রাজ্যসভায় এপিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সম্প্রতি ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারের 'অনুপ্রবেশ' নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। লোকসভার পর এই ৩ রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। অথচ বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে লোকসভায় মহারাষ্ট্রে ভরাডুবি হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের। হরিয়ানাতেও ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, তিন রাজ্যেই সুপরিকল্পিতভাবে ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হয়েছে। বিজেপির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করেছে বিরোধী শিবির। এরাজ্যেও একই রকম পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতার অভিযোগ, দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের ধাঁচে ছাব্বিশের ভোটের আগে বাংলাতেও ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর ছক কষা হচ্ছে। এই নিয়ে সংসদের আলোচনার দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব ছিল তৃণমূল। অবশেষে সেই আলোচনার আশ্বাস মিলল।