shono
Advertisement
Donald Trump

বাইডেনের পর এবার খাঁড়া কমলা-হিলারির ঘাড়ে, বিশেষ ছাড়পত্র কেড়ে নিয়ে 'বদলা'র খেলা ট্রাম্পের!

বাইডেনের মতো তাঁরাও এবার থেকে আর দেশের আর কোনও গোপন নথি হাতে পাবেন না।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 02:49 PM Mar 22, 2025Updated: 02:49 PM Mar 22, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতায় ফিরে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ ছাড়পত্র কেড়ে নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার কোপ পড়ল কমলা হ্যারিস ও হিলারি ক্লিনটনের ঘাড়ে। তাঁদেরও এই বিশেষ ছাড়পত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে বাইডেনের মতো তাঁরাও এবার থেকে আর দেশের আর কোনও গোপন নথি হাতে পাবেন না। বাইডেনের আশঙ্কা ছিল, ক্ষমতায় ফিরলে বদল নয়, বদলার পথেই হাঁটবেন ট্রাম্প। যা সত্যি হল।

Advertisement

জানা গিয়েছে, শুক্রবার ট্রাম্প রীতিমত দীর্ঘ তালিকা তৈরি করে হোয়াট হাউসের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, "আমি সমস্ত দপ্তর ও বিভিন্ন গোয়েন্দা আর নিরাপত্তা সংস্থার আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছি। তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিশেষ ছাড়পত্র যেন প্রত্যাহার করা হয়। ওঁরা কেউ যেন এবার থেকে সরকার কিংবা দেশের কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে না পারে।" মার্কিন প্রেসিডেন্টের তৈরি করা তালিকায় প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও নাম রয়েছে প্রাক্তন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান-সহ মার্কিন কংগ্রেসের একাধিক সদস্যের।

কিন্তু কেন এই 'বদলা'র খেলা খেলছেন ট্রাম্প? আসলে এই খেলা শুরু করেছিলেন বাইডেনই। ২০২১ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই ট্রাম্পের বিশেষ ছাড়পত্র কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। এবার ক্ষমতায় ফিরে বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট নেতাকে সেই অতীতই মনে করিয়ে ‘প্রতিশোধ’ নিচ্ছেন ট্রাম্প। বাইডেনের বিশেষ ছাড়পত্র কেড়ে নেওয়ার পর তিনি জানিয়েছিলেন, ‘জো বাইডেনের গোপন তথ্য পাওয়ার আর কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা তাঁর বিশেষ ছাড়পত্র প্রত্যাহার করছি। প্রতিদিন তিনি যে গোপন খবরগুলো পেতেন সেগুলো আর পাবেন না।’ তিনি যে ‘বদলা’ই নিলেন সেকথা কার্যত উল্লেখ করে এদিন ট্রাম্প লেখেন, ‘এই উদাহরণ তো বাইডেন নিজেই তৈরি করেছিলেন। ২০২১ সালে তিনি আমার বিশেষ ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমাকে যেন জাতীয় নিরাপত্তার আর কোনও তথ্য দেওয়া না হয়।’

কী এই বিশেষ ছাড়পত্র? সাধারণত আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের হাতে থাকে এই ক্ষমতা। তাঁরা চাইলে এফবিআই কিংবা সিআইএ-এর মত গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথি দেখতে পারেন। মার্কিন সেনাবাহিনী কিংবা প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন গোপন তথ্যও প্রতিনিয়ত জানতে পারেন। যেকোনও জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাতেও বিশেষ ছাড় থাকে তাঁদের। ২০২১ সালে আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন বাইডেন। তখন ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য ট্রাম্পের এই ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “ট্রাম্পের আচরণ সংযত নয়। এটাই প্রমাণ তিনি দেশের গোপন তথ্য পাওয়ার যোগ্য নন। তাই এই ক্ষমতা আমরা প্রত্যাহার করছি।’ সেই ক্ষত ভুলে যাননি ট্রাম্প। অপেক্ষা করছিলেন সঠিক সময়ের। সুযোগ পেয়েই এবার নিজের বদলা নিয়ে নিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে যে তাঁর ঘনিষ্ঠদের উপরেও খাঁড়া নেমে আসবে তা বুঝে ছিলেন বাইডেন। তাই গত ১০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদের শেষলগ্নে এসে ‘কোভিড যোদ্ধা’ অ্যান্টনি ফাউচি এবং প্রাক্তন সেনাকর্তা মার্ক মাইলিকে ‘রক্ষাকবচ’ দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ‘প্রেসিডেনশিয়াল পাওয়ার’ বা পদ প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতার এহেন প্রয়োগ আমেরিকায় বেনজির। ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৭তম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। তার আগে পদের শক্তি ব্যবহার করে ফাউচি ও মাইলিকে ‘প্রেসিডেনশিয়াল পার্ডন ‘ বা ক্ষমার শংসাপত্র দেন বাইডেন। সাধারণত, দোষীদের এহেন শংসাপত্র দেওয়া হয়। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ফাউচি ও জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ মাইলির বিরুদ্ধে এখনও কোনও তদন্ত শুরু হয়নি বা তাঁদের কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ক্ষমতায় ফিরে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ ছাড়পত্র কেড়ে নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
  • এবার কোপ পড়ল কমলা হ্যারিস ও হিলারি ক্লিনটনের ঘাড়ে।
  • তাঁদেরও এই বিশেষ ছাড়পত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
Advertisement