সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের স্বামীকে কেটে ১৫ টুকরো করে ড্রামে লুকিয়ে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে মানালি চলে গিয়েছিলেন মুসকান! সেখানে একসঙ্গে তুষারপাত উপভোগ করেছিলেন। জমিয়ে হোলি পার্টিও করেছিলেন। তারপর কাসলে পৌঁছে পালন করেছিলেন প্রেমিকের জন্মদিনও! উত্তরপ্রদেশের মিরাটের হত্যাকাণ্ডে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। এমনই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।

অভিযোগ, ৪ মার্চ ২৯ বছরের সৌরভ রাজপুতকে খুন করেন স্ত্রী ২৭ বছরের মুসকান রাস্তোগি। তাঁর সঙ্গী ছিলেন সমবয়সি সাহিল। দাবি, সৌরভকে খুন করার পর হিমাচল রওনা হন দু'জনে। প্রথমে তাঁরা আসেন মানালি। তারপর সেখান থেকে চলে যান কাসল। গত ১০ মার্চ সেখানকার হোটেল পূর্ণিমায় চেক ইন করেন। থাকেন ১৬ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু রুম নং ২০৩-এর অদ্ভুত যুগলকে দেখে বিস্মিতই হয়েছিলেন সেখানকার কর্মীরা। তাঁদের দাবি, বেশ কয়েকদিন সেখানে থাকলেও তাঁরা ঘর থেকে বেরতেনই না। বেরলেও সামান্য সময়ের জন্য। এবং খাবারও তাঁরা ঘরে আনিয়েই খেতেন। সাধারণত এখানে এলে পর্যটকরা প্রচুর 'সাইট সিয়িং' করেন। কিন্তু মুসকান-সাহিল এসবের ধার ধারেননি। এমনকী ঘর পরিষ্কার করার জন্য একবারই হোটেলের কর্মীদের ডেকেছিলেন।
এদিকে যে ক্যাবে তাঁরা মানালি এসেছিলেন সেই গাড়ির চালক আজব সিং এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছিলেন, যে ওই দুজনকে দেখে বোঝাই সম্ভব ছিল না যে তাঁরা কী কাণ্ড ঘটিয়ে এসেছেন। তবে গাড়ির মধ্যে দুজন কমই কথা বলতেন বলে দাবি তাঁর। গোটা সফরে মুসকানের কাছে দুটি ফোন এসেছিল। দুটিই তাঁর মায়ের। এবং এই গোটা সময়ে ক্যাব চালকের সঙ্গে কথা বলার সময় হোয়াটস্যাপেই কেবল কল করতেন মুসকান। সাহিল রোজ দু'বোতল মদ খেতেন। মুসকান খেয়েছিলেন তিন ক্যান বিয়ার।
যুগলের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে তাঁদের জমিয়ে হোলি পার্টি করতে দেখা গিয়েছে। তবে সেটা কোথায় কখন শুট করা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, দু'জন খুবই আনন্দে রয়েছেন। তাঁদের উজ্জ্বল হাস্যমুখ দেখে বোঝা ভার, কোন ঘৃণ্য অপরাধ করে এসেছেন।