সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “কেউ জোর করেনি। সরকারের কাজে ক্ষুব্ধ হয়েই পদত্যাগ করেছি।” যাঁদের ঘিরে মধ্যপ্রদেশে এত নাটক, সেই বিদ্রোহী বিধায়কদের এই বয়ান নতুন করে অস্বস্তি বাড়াল মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের(Kamal Nath)। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া(Jyotiraditya Scindia) দল ছাড়ার পরই অন্তত ২২ জন বিধায়ক নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। স্পিকারের কাছে নিজেদের ইস্তফাপত্র ইমেলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। রাজ্যপালকেও নিজেদের ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি ছিল, ওই বিধায়কদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। বিজেপি তাঁদের অপহরণ করে রেখেছে। এবং বাধ্য হয়ে তাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন। কংগ্রেসের সেই দাবি মঙ্গলবার খারিজ করে দিলেন বিদ্রোহী বিধায়করা।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসের বিধায়করা বলেন, “কদিন ধরে আমরা সংবাদমাধ্যমে শুনছি, আমাদের নাকি এখানে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। বন্দুকের নলের সামনে রেখে ইস্তফাপত্র লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। কর্ণাটক সরকার আমাদের পুলিশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে। আমরা এটা জানাতেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছি, যে এসব ভুল। সরকারের কাজে আমরা অসন্তুষ্ট। সেজন্যই সকলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। এতে কারও কোনও প্রভাব নেই।” আরেক বিদ্রোহী নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ইমুর্তি দেবী বলছেন, “জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আমাদের নেতা। ওঁর নেতৃত্বেই আমরা রাজনীতি শিখেছি। ২০১৮ সালে ওর নেতৃত্বেই আমরা ক্ষমতায় ফিরি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মেনে কাজ করছেন না।”
[আরও পড়ুন: ‘মঙ্গলবারের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করুন, নাহলে…’, কমল নাথকে কড়া চিঠি রাজ্যপালের]
বিদ্রোহী বিধায়কদের এই বয়ান রীতিমতো অস্বস্তি বাড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের। যদিও মুখে তিনি দাবি করছেন, আস্থা ভোটের জন্য তিনি প্রস্তুত। সাহস থাকলে অনাস্থা আনুন বিরোধীরা। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি বলেন, “সংবিধান মেনে যা যা করণীয়, তা তিনি করবেন। তাঁর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই আস্থা ভোটের কোনও প্রয়োজন নেই। আর যাঁরা সরকার গড়ার দাবি জানাচ্ছে, তাঁদের যদি সাহস থাকে, তাঁরাই অনাস্থা আনুক।”
The post ‘কেউ জোর করেনি, স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছি’, কমল নাথের অস্বস্তি বাড়ালেন বিদ্রোহী বিধায়করা appeared first on Sangbad Pratidin.