shono
Advertisement
Madhabi Buch

'এখনই FIR নয়', প্রতারণা মামলায় প্রাক্তন সেবি প্রধান মাধবীকে স্বস্তি হাই কোর্টের

বড় স্বস্তি প্রাক্তন সেবি চেয়ারপার্সনের।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 03:02 PM Mar 03, 2025Updated: 03:03 PM Mar 03, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনই এফআইআর দায়ের করা যাবে না 'সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া' বা সেবির প্রাক্তন প্রধান মাধবী পুরী বুচ-এর বিরুদ্ধে। সোমবার নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে এমনটাই জানাল হাই কোর্ট। বলার অপেক্ষা রাখে না আদালতের এহেন নির্দেশে বড় স্বস্তি পেলেন প্রাক্তন সেবি চেয়ারপার্সন।

Advertisement

সেবির চেয়ারপার্সন থাকাকালীন শেয়ার বাজারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল মাধবী পুরী বুচ-এর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তদন্তের দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এক সাংবাদিক। তাঁর অভিযোগ ছিল, মাধবী সেবির দায়িত্বে থাকাকালীন শেয়ার বাজারে ব্যাপক আর্থিক কারচুপি, বেনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। শনিবার এই মামলার শুনানিতে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত জানায়, কারচুপি যে হয়েছে তার প্রাথমিক প্রমাণ ইতিমধ্যেই আমরা পেয়েছি। ফলে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। মাধবী-সহ আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের ও আদালতের নজরদারিতেই এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৩০ দিনের মধ্যে তদন্তের স্টাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। তবে এই সিদ্ধান্তের পালটা সেদিনই উচ্চ আদালতে যাওয়ার বার্তা দিয়েছিল সেবি।

সেবির আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। যেখানে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং আইনজীবী অমিত দেশাই জানান, নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে কোনও নোটিস না দিয়েই তদন্ত শুরু নির্দেশ দিয়েছে। ফলে এই নির্দেশ গ্রহণযোগ্য নয়। সেবির আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে জানায়, মঙ্গলবার শোনা হবে এই মামলা। তার আগে মুম্বইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা নিম্ন আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না মাধবী ও অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, গত বছর মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গের এক রিপোর্ট রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল দেশে। সেই রিপোর্টে সেবি প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। যেখানে বলা হয়, মাধবী সেবির চেয়ারপার্সন হওয়ার পরও তাঁর ও তাঁর স্বামীর আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা, যে সংস্থা বিভিন্ন শিল্প সংস্থাকে পরামর্শ দিয়ে আয় করে, সেখানে যুক্ত ছিলেন। বলা হয়, বিভিন্ন অখ্যাত ও বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার মাধ্যমে আদানিদের বিভিন্ন সংস্থায় লগ্নি করিয়ে কৃত্রিমভাবে আদানিদের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি করানো হয়। সেই লগ্নিতে ছিল বুচ দম্পতির অর্থও। সঙ্গে যুক্ত হয় বিরোধীদের নানা দাবি। বলা হয়, সেবির দায়িত্বে থেকেও বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে নিয়মিত বেতন তুলেছেন মাধবী। এক সময় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী স্বয়ং মাধবীর অপসারণের দাবি তোলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • এখনই এফআইআর দায়ের করা যাবে না প্রাক্তন সেবি প্রধানের বিরুদ্ধে।
  • সোমবার নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে এমনটাই জানাল হাই কোর্ট।
Advertisement