সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিশপ্ত ১২ নভেম্বর, ২০২৩ এখনও দগদগে। সেদিনই ধস নেমেছিল উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel)। আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। বিপর্যয়ের ১৭ দিনের মাথায় মুক্তি পেয়েছিলেন তাঁরা। সেই সুড়ঙ্গের অসম্পূর্ণ কাজ শুরু হচ্ছে ফের। এর মধ্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু চমকে দেওয়া কাণ্ড হল, সুড়ঙ্গের কাজে যোগ দিচ্ছেন দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে আটকে পড়া শ্রমিকরাও। এনডিটিভির সূত্রে খবর, বা্ংলার শ্রমিক মানিক তালুকদার ইতিমধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া বাংলার অন্য দুই শ্রমিক কাজের খোঁজে রাজ্য ছাড়লেও উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গের কাজেই যোগ দিয়েছেন কিনা জানা যায়নি।
উত্তরকাশীতে ১৭ দিনের রুদ্ধশ্বাস টানাপোড়েনের পর ঘরে ফিরেছিলেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বাসিন্দা মানিক তালুকদার। উদ্ধারের পর জানিয়েছিলেন, নিজের এলাকায় কাজ পেলে দূরে যাবেন না। মানিকের স্ত্রীও সেকথা বলেছিলেন। মানিক বলেছিলেন, ”এখানে কাজ পেলে ভালো।” না পেলে? “না পেলে তো বাইরে যেতেই হবে। বউ-বাচ্চা আছে, তাদের তো খাওয়াতে হবে। কাজ না করলে খাব কী?” বস্তুত সেই পেটের দায়েই তাঁকে ফিরতে হয়েছে উত্তরকাশীতে।
[আরও পড়ুন: বিহারের পর চণ্ডীগড়েও ধাক্কা ইন্ডিয়া জোটের, ‘কূট’ চালে মেয়র নির্বাচন জিতল বিজেপি]
কিন্তু ফের যদি দুর্ঘটনা ঘটে? উত্তরে মঙ্গলবার এনডিটিভিকে মানিক বলেন, “এটা ভাগ্যের বিয়য়। তার মানে এই নয় ভয়ে আমাদের কাজ করা বন্ধ করে দিতে হবে।” গত বছরের নভেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে যাঁরা আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। কাজের খোঁজ পাড়ি দেন কয়েক হাজার কিলোমিটার। কাজও এমন, যাতে জীবনের ঝুঁকি থাকেই। এই বিষয়ে মানিকের সংক্ষিপ্ত উত্তর, “আমাদের কাজের ঝুঁকির বিষয়টি আমরা জানি। ” কিন্তু পেটের দায় যে বড় দায়!