সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠছে ময়নাতদন্তের চালান নিয়ে। এবার চালান বিতর্কে সুপ্রিম দরবারে ভুল স্বীকার করলেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। এই মর্মে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানালেন তিনি। এই ঘটনায় হতাশা প্রকাশ আদালতের। প্রধান বিচারপতি বললেন, "আমরা ব্যাখ্যা চাই না।"
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় বাংলা। তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্ত থেকে শুরু করে হাই কোর্টে চালান জমা, একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। সুপ্রিম কোর্টে আগের দিনের শুনানিতে উঠেছিল ময়নাতদন্তের চালান প্রসঙ্গ। এদিন ফের রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল। প্রধান বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করলেন, "ময়নাতদন্তের চালান কোথায়?" জবাবে স্পষ্টভাবে ভুল স্বীকার করে নিলেন কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, "১৯৯৭ সালের পর থেকে ময়নাতদন্তের চালান বন্ধ। হাই কোর্টে চালান পেশ হয়নি। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ময়নাতদন্ত ও সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, দেশের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর বিবরণ আদালতে দেওয়া হয়েছে।" এই মন্তব্যের পরই ভুল স্বীকার করে সিব্বল জানালেন, এবিষয়ে ইতিমধ্যেই হলফনামা পেশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর থেকে প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
একাধিক দাবিতে টানা কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বেশ কয়েকবারের চিঠিযুদ্ধের পর সোমবার রাতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেব জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাতে রাজ্যের তরফে মিলেছে একাধিক আশ্বাস। তবে এখনও কর্মবিরতি তোলেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে এদিন আদালতে তাঁদের আইনজীবী জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তাঁরা কাজে ফিরতে চান।