সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুকেশ আম্বানিকেও (Mukesh Ambani) বিত্তের নিরিখে পিছনে ফেলে দিলেন ম্যাকডোনাল্ডের এক প্রাক্তন কর্মী! সৌজন্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency)। প্রাক্তন বার্গার প্রস্তুতকারক ও সফটওয়্যার ডেভেলপার এই ব্যক্তির নাম চ্যাংপেং ঝাও। ক্রিপ্টো দুনিয়ার সাফল্যেই হু হু করে বেড়েছে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ। যা জাগাচ্ছে বিস্ময়।
আবুধাবি গ্রাঁ প্রি-তে প্রতি বছরই এক বিলাসবহুল পার্টিতে মেতে ওঠেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র তারকা কিংবা খেলোয়াড়রা। প্রত্যেকেই চূড়ান্ত বিত্তবান। গত মাসে সেই পার্টিতে ডাক পেয়েছিলেন চ্যাংপেং। এরপর থেকেই তাঁর দিকে নজর গিয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের। উল্লেখ্য, ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে এই মুহূর্তে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৯৬ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় অঙ্কে ৭২ হাজার কোটি টাকা! কেবল আম্বানিকে পিছনে ফেলাই নয়, অদূর ভবিষ্যতে যে তিনি ফেসবুকের মালিক মার্ক জুকারবার্গ বা গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিনের মতো ধনকুবেরদেরও টপকে যেতে পারেন, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: চিনের ঋণের বোঝা ও মুদ্রাস্ফীতির দাপট, দেউলিয়া হওয়ার পথে শ্রীলঙ্কা!]
ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় ‘সিজেড’ নামেই পরিচিত ৪৪ বছরের চ্যাংপেং। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে তাঁর। দুবাইয়ে তৈরি করে ফেলেছেন এক অতিকায় ভবন। বুর্জ খলিফার কাছেই অবস্থিত সেই বাড়ি এক ঝাঁ চকচকে নির্মাণ। এবং তা চ্যাংপেংয়ের বিত্তের ঝলসানিকেই প্রতিফলিত করে যেন। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মত, তাঁর এই উত্থান সবে শুরু হয়েছে। আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে তাঁর বিত্তের পরিমাণ। কেননা তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ তাঁর ব্যক্তিগত ক্রিপ্টো হোল্ডিংকে হিসেবে ধরেনি। যার মধ্যে রয়েছে বিটকয়েন ও তাঁর ফার্মের নিজস্ব ক্রিপ্টোকয়েন তথা ডিজিটাল মুদ্রা। যার নাম বিনান্স কয়েন।
চ্যাংপেংয়ের সংস্থাকে ঘিরে বিতর্কও রয়েছে পুরোমাত্রায়। চিন থেকে তাঁর সংস্থাকে নির্বাসিত করা হয়েছে। এদিকে আমেরিকাও বিনান্স হোল্ডিংস লিমিটেডের বিষয়ে নজর রেখেছে। আর্থিক তছরুপ হোক কিংবা কর ফাঁকি- নানা অভিযোগ উঠে আসছে। যদিও চ্যাংপেং বা তাঁর সংস্থার তরফে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করা হয়েছে।