সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিন্দুকেরা বারবার বলে থাকেন, রোজগার, অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভাবেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি বরং ব্যস্ত থাকেন জাতপাত আর বিভাজনের রাজনীতিতে। এবার নিন্দুকদের সেইসব কটাক্ষের জবাব দিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ৮ বছরের শাসনকালে প্রথমবার বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শোনা গেল তাঁকে। সেই সঙ্গে প্রায় ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন তিনি।
কিছুদিন আগে এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ‘জব ফেয়ারে’র আয়োজন করেছিলেন। অনেকটা সেই ধাঁচেই দিল্লিতে মোদি ‘রোজগার মেলা’র আয়োজন করলেন। যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেছে নেওয়া ৭৫ হাজার ২২৬ জন নির্বাচিত চাকরিপ্রার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হল চাকরির নিয়োগপত্র। এই ৭৫ হাজার যুবক-যুবতী কেন্দ্রের ৩৮টি মন্ত্রক ও বিভিন্ন দপ্তরে কাজে যোগ দেবেন। গ্রুপ এ, গ্রুপ বি, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, সব স্তরের কর্মীরাই এদিন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ভারচুয়ালি নিয়োগপত্র পেয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান, কী প্রতিক্রিয়া ভারতের?]
এই রোজগার মেলার (Rojgar Mela) সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, আগামী এক বছরে সরকার ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের টার্গেট নিয়েছে। সেই লক্ষ্যপূরণে প্রতি মাসে ৭৫ হাজার জনকে নিয়োগ করা হবে। সূত্রের খবর, আগামী দিনে সমস্ত বিজেপি (BJP) বা এনডিএ (NDA) শাসিত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত রাজ্যেও এই ধরনের রোজগার মেলার আয়োজন করা হবে। দিওয়ালির আগে মোদির এই জব ফেয়ারকে অনেকেই মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন। কারণ আগামী এক দেড় বছরের মধ্যে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। আর তাতে বেকারত্ব যে বিরোধীদের অন্যতম অস্ত্র হতে চলেছে, সেটা বলে দেওয়াই যায়। প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের সেই অস্ত্রকেই ভোঁতা করে দিতে চাইছেন। সেজন্য কেন্দ্রের বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও সরল করতে চাইছে সরকার।
[আরও পড়ুন: গুমনামি বাবার DNA রিপোর্ট দিতে কেন নারাজ কেন্দ্র? আরটিআইয়ের জবাবে বিতর্ক]
যদিও প্রধানমন্ত্রী এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন কোভিডের ক্ষত এখনও বয়ে নিয়ে বেড়াতে হচ্ছে ভারতকে। মোদি এদিন বলেন,”ভারত এই মুহূর্তে বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি। আট বছরে ১০ নম্বর থেকে ৫ নম্বরে উঠে এসেছি। তবে ১০০ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটের ক্ষত ১০০ দিনে মেটানো সম্ভব নয়। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিও বেকারত্ব এবং মন্দার সমস্যায় ভুগছে। তবে এসব সত্ত্বেও ভারত কোভিডের এই ক্ষতকে কমানোর সাধ্যমতো চেষ্টা করছে।”