সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমীক্ষার নির্দেশের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল সম্ভলের জামা মসজিদ কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের ওই মসজিদে সমীক্ষার সময়ে তুমুল অশান্তি বাঁধে। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তিনজনের। এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। অন্যদিকে, সংঘর্ষের পর ওই মসজিদে শুক্রবারের নমাজ নিয়ে সতর্ক থাকছে পুলিশও। বৃহস্পতিবার গোটা এলাকায় টহল দিয়েছে পুলিশ বাহিনি।
সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ নিয়ে একটি মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। মামলায় তিনি দাবি করেন, অতীতে ওই এলাকায় ছিল হরিহর মন্দির। মুঘল আমলে তা ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়। ১৫২৯ সালে এই কাজ করেন মুঘল বাদশা বাবর। বিষ্ণু শংকর জৈনের মামলার ভিত্তিতে মসজিদ সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে জামা মসজিদ কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর পুলিশ মোতায়েন করে জামা মসজিদে প্রথম দফায় সমীক্ষা চালানো হয়। সেদিন থেকেই ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়ছিল গোটা এলাকাজুড়ে। মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে রবিবার অর্থাৎ দ্বিতীয় সমীক্ষার দিন। সরকারি আধিকারিকরা মসজিদে পৌঁছালে অশান্তি শুরু হয়। আধিকারিকরা মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে ইট ও পাথরবৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে জানা যায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভয়ানক সংঘর্ষের পরে আগামিকালই প্রথম শুক্রবারের নমাজ হবে সম্ভলের মসজিদে। অশান্তি এড়াতে কোমর বেঁধে নেমেছে পুলিশ। স্থানীয় ডিভিশনাল কমিশনার জানান, সমস্ত পুলিশ আধিকারিকরা এলাকায় টহল দিয়েছেন। আমজনতা, মৌলবি থেকে শুরু করে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। সম্ভল-সহ একাধিক স্পর্শকাতর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি বাহিনি। বহিরাহতরা যেন সম্ভলে ঢুকতে না পারে, তার জন্যও বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেন উত্তেজনা ছড়াতে না পারে, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।