সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পবিত্র রমজানের নমাজ চলছে। এর মধ্যেই হোলি। তাই সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে প্লাস্টিকে মুড়ে দেওয়া হবে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের বিতর্কিত জামা মসজিদ-সহ ১০টি মসজিদ। যোগী প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বিতর্ক উত্তরপ্রদেশে।
সম্ভলের ঐতিহাসিক জামা মসজিদে সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে মাস কয়েক আগেই যে হিংসার আবহ তৈরি হয়েছিল, সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। সম্ভলের এই মসজিদকে হরিমন্দির বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল স্থানীয় হিন্দুপক্ষ। নিম্ন আদালত তাদের পক্ষেই নির্দেশ দেয়। ওই মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়। আধিকারিকরা সমীক্ষা করতে গেলে প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। পুলিশ এবং দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রাণ যায় ৪ জনের। সেই ঘটনার পর থেকেই সম্ভলের পরিস্থিতি থমথমে। ওই কাণ্ড নিয়ে জাতীয় রাজনীতিও উত্তাল হয়েছে।
হোলিতে এই ধরনের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছে না যোগী প্রশাসন। সম্ভল পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, যে যে এলাকা দিয়ে সাধারণত হোলির সময় শোভাযাত্রা যায়, সেই এলাকার সব ধর্মীয় স্থান প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, হিন্দু এবং মুসলিম দুই পক্ষের মতামত নিয়েই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও তাতে বিতর্ক থামছে না। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এভাবে একটা ধর্মের অনুষ্ঠানকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আর এক ধর্মের ধর্মীয় স্থান ঢেকে দেওয়া সমর্থনযোগ্য নয়।
সম্ভল নিয়ে বিতর্ক অবশ্য আগেও হয়েছে। এর আগে সম্ভলের পুলিশ আধিকারিক অনুজ কুমার চৌধুরীর একটি মন্তব্য ঘিরেও বিতর্ক তৈরি হয়। ওই পুলিশ আধিকারিক স্থানীয় মুসলিমদের, দোলের দিন ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ দেন। তিনি সাফ বলে দেন, "যদি সংখ্যালঘুদের গায়ে রং লাগাতে আপত্তি থাকে তাহলে হোলির দিন বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। কারণ হোলি বছরে একবার আসে আর শুক্রবারের নমাজ আসে বছরে ৫২ বার।" পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগীও ওই পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য সমর্থন করেন। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই মসজিদ ঢেকে দেওয়া নিয়ে নয়া বিতর্ক।
