বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: প্রাক্তন ও বর্তমান। দু’জনেই দিল্লিতে। বলা ভালো, দু’জনেই ছিলেন সংসদে। অথচ সন্ধির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কি ছন্দপতন? রাজধানীতে বঙ্গ বিজেপির দুই নেতাকে নিয়ে জোর জল্পনা।
কারণ একই সময়ে দিল্লিতে থাকলেও মুখোমুখি হলেন না বঙ্গ বিজেপির বর্তমান সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অথচ বুধবার দিলীপ দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সংগঠন বিএল সন্তোষ ও বাংলার পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলের সঙ্গে বৈঠক করলেন শমীক। শুক্রবার সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। দিল্লিতে পা রেখেই বাংলায় দলের সংগঠন নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। রাজ্যের অনেক বুথেই যে এজেন্ট দেওয়ার পরিস্থিতিতে বিজেপি নেই তাও অকপট স্বীকার করেন নেন।
দলের দায়িত্ব পেয়েই রাজ্যের সংখ্যালঘুদের বার্তা দিচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য। কিন্তু তাঁর এই বার্তায় সংখ্যালঘুরা সাড়া দেবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান দল। তাই তৃণমূল বিরোধী ভোট ভাগ না হওয়ার আবেদন জানালেন তিনি। কিন্তু ভোট ভাগ করার আবেদন করেও রাজ্য একলা চলোর নীতিতেই যে বিজেপি হাঁটবে তাও স্পষ্ট করেন। এদিন জানান, “তৃণমূল কাদের সঙ্গে জোট করবে জানা নেই। কিন্তু বিজেপি একাই লড়াই করবে।” কিন্ত রাজ্যের সংখ্যালঘুরা যেভাবে তৃণমূলের ভোটবাক্স ভরিয়ে রেখেছে তাতে জয় কীভাবে সম্ভব। প্রশ্নে শমীকের জবাব, আসম মডেল অনুসরণ করবেন তাঁরা। সেখানে শুধুমাত্র সংখ্যাগুরুদের ভোটে যেভাবে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে বঙ্গেও এমনই ঘটনা ঘটতে চলেছে বলে জানান। আর সেই লড়াইয়ে নব্য ও আদি বিজেপি এক হয়ে করবে বলেও দাবি করেন।
কিন্তু সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হলেও বাংলায় দলের সংগঠন যে এখন দুর্বল তা স্বীকার করে শমীক জানান, রাজ্যে এমন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার বুথ রয়েছে যেখানে বিজেপি কমিটি গঠন করে পারে না। এগুলো পুরোটাই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত।
