shono
Advertisement

সন্দেশখালি কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি রাজ্যের, সংসদীয় কমিটির নোটিসে স্থগিতাদেশ

সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় স্বস্তি রাজ্যের। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ পাঁচ আধিকারিককে তলব করে। ওই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। লোকসভার সচিবালয়ের ওই নোটিসে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৪ সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।
Posted: 10:46 AM Feb 19, 2024Updated: 12:42 PM Feb 19, 2024

নন্দিতা রায় ও সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় স্বস্তি রাজ্যের। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ পাঁচ আধিকারিককে তলব করে। ওই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। লোকসভার সচিবালয়ের ওই নোটিসে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৪ সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর দিন সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali Incident) যাওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি প্রতিনিধি দল। নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় টাকির হোটেলে আটকে দেওয়া হয় সুকান্ত মজুমদারকে। তবে কার্যত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হোটেলের অন্য গেট দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে বেরিয়ে পড়েন সুকান্ত। ইছামতীর পাড়ে প্রতিমা রেখে শুরু হয় পুজো। কিন্তু এর পরই পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর উঠে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। গাড়িও এগোতে পিছতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। প্রবল ঝাঁকুনিতে মাটিতে পড়ে যান সুকান্ত। যদিও বিজেপির দাবি, পুলিশই ফেলে দেয় তাঁকে। সংজ্ঞা হারান সুকান্ত। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে দিন তিনেক ভর্তিও ছিলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: সহবাসের পর বিয়েতে ‘না’, প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আত্মহত্যার চেষ্টা তরুণীর]

এর পরই লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানান সুকান্ত মজুমদার। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ, বসিরহাটের পুলিশ সুপার হাসান মেহেদি রহমান-সহ পাঁচজনকে তলব করে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। সোমবার সকালে কমিটির সদস্যদের মুখোমুখি হতে বলা হয়েছিল আমলাদের। তার আগেই সকালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব। সোমবার বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিও বিষয়টিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার পরেই স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘প্যান্ট পরোনি কেন?’, ফিনল্যান্ডের ছবি শেয়ার করতেই কটাক্ষের মুখে সোহিনী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement