সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না। সোমবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে শপথবাক্য পাঠ করেন তিনি। দেশের নতুন প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। উল্লেখ্য, রবিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তার পরেই সোমবার নতুন প্রধান বিচারপতি পেল দেশ। তবে প্রধান বিচারপতির জন্য বরাদ্দ বাংলো ব্যবহার করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সঞ্জীব খান্না।
সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধান বিচারপতি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। ছিলেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ও। উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি পদে সঞ্জীব খান্নার নাম প্রস্তাব করা হয়। তার পর ২৪ অক্টোবর সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র। অবশেষে ১১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন সঞ্জীব।
আগামী সাত মাসের জন্য প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন সঞ্জীব। ২০২৫ সালের ১৩ মে তিনি অবসর নেবেন। তবে শপথ নেওয়ার আগেই দেশের প্রধান বিচারপতির জীবন থেকে বাদ পড়েছে সাধের প্রাতঃভ্রমণ। আসলে প্রতিদিন সকালে উঠে কয়েক কিলোমিটার হাঁটা বিচারপতি খান্নার দীর্ঘদিনের অভ্যেস। রোজ সকালে দিল্লির লোধী গার্ডেন এলাকার মুক্ত বাতায়নে কয়েক কিলোমিটার হাঁটতেন তিনি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি হওয়ার পরে 'বিখ্যাত' হয়ে নিরাপত্তার কড়াকড়ি বেড়েছে। ফলে বন্ধ হয়েছে মর্নিং ওয়াক। সেই সঙ্গে নতুন প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, বরাদ্দ বাংলো তিনি নেবেন না। পুরনো বাসভবন থেকেই কাজ চালিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, চার দশকেরও বেশি সময় আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। ১৯৮৩ সালে দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে আইনজীবী হিসাবে প্র্যাকটিস শুরু করেন তিনি। ২০০৫ সালে তিনি দিল্লি হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। এক বছর পরেই দিল্লি হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদে উন্নীত হন তিনি। ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি খান্নাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। ঘটনাচক্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে কোনও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। ফলে এই প্রথম প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাজ করবেন তিনি।