সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা এখনই নয়। নীতীশ কুমারের স্বপ্নের কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল পাটনা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার সেই স্থগিতাদেশে সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের আপত্তি উড়িয়ে ওই জনগণনা শুরু করেছিল নীতীশ সরকার। কিন্তু হাই কোর্টে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পর শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হল না। পাটনা হাই কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ জুলাই। সেদিন পাটনা হাই কোর্টে শুনানি না হলে ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি শুনবে।
এবারের জনগণনার ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি (SC) এবং তফশিলি উপজাতি (ST) বাদে অন্য কোনও ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী OBC-দের ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা জাতির উল্লেখ রাখা হবে না। শুরু থেকেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন নীতীশ কুমার। তাঁর দাবি ছিল, এই সেনসাসে প্রতিটি জাতির আলাদা আলাদা উল্লেখ রাখতে হবে। তাতে সরকারি প্রকল্প সব জাতির কাছে সঠিক অনুপাতে পৌঁছে দেওয়া যাবে। কেন্দ্র নীতীশের সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নীতীশ বিহারে (Bihar) আলাদা করে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন।
[আরও পড়ুন: ওহ লাভলি! টলিউডে পা রেখেই সুপারস্টার, সুইমিংপুলে ‘মদনদা’র ‘নায়িকা-বিলাস’]
গত জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। জনগণনার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল। শেষ হওয়ার কথা ১৫ মে। তার আগেই বিহারের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংঠন এই প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতেই গোটা জাতিগত জনগণনার প্রক্রিয়ায় সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয় পাটনা হাই কোর্ট।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এস ওকা ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চে নীতীশ সরকারের দাবি ছিল, এটা কোনও জনগণনা নয় শুধুমাত্র সমীক্ষা। এতে স্থগিতাদেশ জারি হলে প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাই স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়া হোক। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট।