সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: DRDOর অতিথিশালাতেই মহিলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিজ্ঞানী। তারপরেই হানিট্র্যাপে পড়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানের (Pakistan) হাতে তুলে দেন তিনি। পুণের একটি আদালতে এমনটাই দাবি করেছে মহারাষ্ট্রর এটিএস। প্রসঙ্গত, গত বুধবার পুণে থেকেই গ্রেপ্তার হন DRDO বিজ্ঞানী ডঃ প্রদীপ কুরুলকর। আরও বেশিদিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে রাখতে চেয়েছে এটিএস।
তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই DRDO অতিথিশালার নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। অভিযুক্ত বিজ্ঞানীর সামনেই ওই নথিপত্র তুলে ধরা হবে। তারপরে জেরা করা হবে বিজ্ঞানীকে, এমনটাই দাবি এটিএসের। এছাড়াও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে একটি মোবাইল। সেখান থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ওই বিজ্ঞানী, এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। এমনকি, পাকিস্তানের একটি ইমেল আইডিও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: কোনও জোট নয়, কর্ণাটকে একাই ক্ষমতায় ফিরবে কংগ্রেস, দাবি শিবকুমারের]
মহারাষ্ট্র এটিএসের (Maharashtra ATS) সওয়াল শুনে বিজ্ঞানীর হেফাজতের মেয়াদ ১৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে পুণের আদালত। চলতি বছর নভেম্বর মাসেই অবসর নেওয়ার কথা ছিল অভিযুক্ত বিজ্ঞানীর। প্রসঙ্গত, অগ্নি মিসাইল-সহ DRDOর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে কাজ করেছিলেন তিনি। কী কী তথ্য ওই বিজ্ঞানীর মাধ্যমে পাকিস্তানে পাচার হয়েছে, তা এখনও পুরোপুরি জানতে পারেননি তদন্তকারী আধিকারিকরা।
মহারাষ্ট্র ATS সূত্রের খবর, DRDO’র ওই শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী হোয়াটসঅ্যাপ এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখেছিলেন পাক গোয়েন্দাদের সঙ্গে। পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের একটি মিসাইলের ছবি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ওই গবেষক। সেই মিসাইলটি কোথায় রাখা হয়েছে, সেটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন। হানিট্র্যাপের ফাঁদে পড়ে নিজের কিছু নগ্ন ছবিও পাক গোয়েন্দাদের পাঠিয়েছিলেন ওই সিনিয়র অফিসার। সেই ছবিগুলি ব্যবহার করেই পরে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয়।