shono
Advertisement
Delhi

প্রসাদ চেয়ে তাণ্ডব একদল যুবকের, মারধরে মৃত্যু দিল্লির কালকাজি মন্দিরের সেবায়েতের

একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
Published By: Subhankar PatraPosted: 01:04 PM Aug 30, 2025Updated: 02:32 PM Aug 30, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে বচসা। একদল যুবকের মারধরে মৃত্যু হল সেবায়তের। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির বিখ্যাত কালকাজি মন্দিরে। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সেবায়েতের নাম যোগেন্দ্র সিং। বয়স ৩৫ বছর। তিনি আদতে উত্তরপ্রদেশের হারদোই জেলার বাসিন্দা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি মন্দিরের দেখভাল করে আসছেন। শুক্রবার রাতে একদল যুবক মন্দিরে এসে দেবীর দর্শনের পর স্থানীয় বিশেষ প্রসাদ চুন্নি প্রসাদ দাবি করেন। কিন্তু তাঁরা তা পাননি। তা নিয়ে যোগেন্দ্রর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে যুবকের দল। তা হাতাহাতিতে গড়ায়।

অভিযোগ, ওই যুবকের দল যোগেন্দ্রের উপ চড়াও হয়। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তারা সেবায়েতকে উদ্ধার করে দিল্লি এইমসের ট্রমা কেয়ারে নিয়ে যান। সেখানে অল্পকিছু ক্ষণের মধ্যেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন যোগেন্দ্র। এই ঘটনায় অতুল পাণ্ডে নামে এক যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা পালিয়ে যায়। খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তাঁদের কাছে ফোন যায় কালকাজি মন্দির চত্বরে গন্ডগোল হচ্ছে। দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নির্দিষ্ট মামলায় মামলা রুজু করে তদন্তে শুরু হয়েছে। কালকাজি মন্দিরের আরও এক সেবায়েত রাজু বলেন, "রাত ৯টার দিকে ১০-১৫ জনের একদল যুবক প্রসাদ চায়। যোগেন্দ্র কয়েকমিনিট অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু ওরা অপেক্ষা করেত রাজি ছিল না। তারপর ওরা তাঁকে হুমকি দিতে শুরু করে। লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে যোগেন্দ্রকে খুন করা হয়েছে।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে বচসা। একদল যুবকের মারধরে মৃত্যু হল সেবায়তের।
  • শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির বিখ্যাত কালকাজি মন্দিরে।
  • ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
Advertisement