ভারতীয় ফৌজের শিখ জওয়ানদের উসকানি দিচ্ছে খলিস্তানিরা, জানাল NIA

01:26 PM Dec 12, 2020 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনার শিখ জওয়ানদের বিদ্রোহের জন্য উসকানি দিচ্ছে খলিস্তানিরা। এই কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আমেরিকার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (SFJ)। সম্প্রতি আদলতে দাখিল করা চার্জশিটে এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনে ১১ জনের মৃত্যু! আর কত বলিদান দিতে হবে? মোদিকে প্রশ্ন রাহুলের]

নিজের রিপোর্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করার জন্য ফৌজের (Indian Army) শিখ জওয়ানদের লাগাতার উসকানি দিচ্ছে খলিস্তানি সংগঠন SFJ-র প্রধান গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুন। এছাড়া, কাশ্মীরেও জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে সংগঠনটি। চার্জশিটে পান্নুন-সহ ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’-এর প্রধান হরদীপ সিং নিজ্জর ও ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল’-এর প্রধান পরমজিৎ সিং ওরফে পম্মা-সহ ১৬ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার নাম উল্লেখ করেছে NIA। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, দেশে চলা কৃষক আন্দোলনের আবহে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের এই রিপোর্টে রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এই বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের মদতে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে ইন্ধন জোগানোর চেষ্টা করছে বিশ্লেষকরা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

উল্লেখ্য, SFJ নেতা পান্নুন-সহ ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ ও ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল’ ভারত সরকারের নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন, মানবাধিকার সংগঠনের আড়ালে সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে খলিস্তানি সংগঠনটি। প্রসঙ্গত, চিনের উসকানিতে চলতি বছর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উত্তপ্ত করে তুলেছে নেপালের ওলি সরকার। ভারতীয় সেনার গোর্খা জওয়ানদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পড়শি দেশটি। ভারতীয় সেনার একটা মজবুত অঙ্গ হচ্ছে গোর্খা বাহিনী। নেপালের এই যোদ্ধাদের গোটা বিশ্বে জুড়ি মেলা ভার। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর নেপাল, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। এতে চারটি গোর্খা রেজিমেন্টকে ব্রিটিশ আর্মি থেকে ইন্ডিয়ান আর্মিতে যুক্ত করা হয়। বর্তমানে ভারতের সাতটি গোর্খা রেজিমেন্ট, আসাম রাইফেলস-সহ সেনাবাহিনীর ৪০টি ব্যাটালিয়নে ৪০ হাজারের মতো নেপালি নাগরিক কর্মরত। আর সেই বিষয়টিকেই কাজে লাগিয়ে নয়াদিল্লিকে চাপে ফেলতে চাইছে ওলি প্রশাসন। এবার আইন করে সেই চুক্তি বাতিল করতে চাইছে কাঠমান্ডু। তা যদি হয়, তাহলে নেপালের গোর্খারা আর ভারতীয় সেনাবাহিনী বা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন না। বর্তমানে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ৩ হাজার ৬০০ নেপালি সৈনিক রয়েছে।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: অন্ধ্রের ‘রহস্যময়’ অসুখ ঘিরে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক, এখনও অজানা রোগের সঠিক কারণ]

Advertisement
Next