সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্দোলন শেষ। সর্বস্ব হারিয়ে শেষমেশ ফের মোটা মাইনের কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতেই ফিরলেন কাশ্মীরের ‘বিদ্রোহী’ IAS শাহ ফয়জল (Shah Faesal)। পর্যটন মন্ত্রকের সহ সচিব পদে যোগ দিয়েছেন তিনি। চার মাস আগেই ইস্তফাপত্র বাতিলের আবেদন করে মোদি সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফয়জল। অবশেষে তা মেনে নিয়ে তাঁকে পোস্টিং দিল কেন্দ্র।
ফয়জল ছিলেন হিংসা বিধ্বস্ত কাশ্মীরের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ। ২০১০ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে আইএএস পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন। কাশ্মীরের ইতিহাসে সেই প্রথম। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আমলা হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। সম্মানজনক ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়ে তিনি হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলেও শিক্ষালাভ করেন। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের ‘ইয়ুথ আইকন’।
[আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ ঘণ্টায় জিব্রাল্টার প্রণালী পার বাংলার সাঁতারু তাহরিনার, খুশির হাওয়া উলুবেড়িয়ায়]
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে রাজনীতিতে যোগ দেন ফয়জল। তৈরি করেন ‘জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট’ নামে একটি দল।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সময় পাবলিক সেফটি অ্যাক্টে ফয়জলকে আটক করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে আটক ছিলেন তিনি। ছাড়ার পরই রাজনীতিতে ইতি টানেন ফয়জল। ফের সরকারি চাকরিতে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। সেইসময় ফয়জলের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেনি কেন্দ্র। পরে ফয়জল তাঁর পদত্যাগপত্র বাতিল করার আরজি জানান। টুইটারে লেখেন, গত ৮ মাসে আমার জীবনে বোঝা চাপিয়ে ফেলেছি। আমার জীবন প্রায় শেষ। মরীচিকার পিছনে ছুটতে গিয়ে দীর্ধ সময় ধরে তৈরি করা সম্মান, নাম, বন্ধু. চাকরি সব হারিয়ে ফেলেছি। কিন্তু আমি আশাহত হয়নি।” অবশেষে সমস্ত আন্দোলন, রাজনীতি ছেড়ে ফের চাকরিতে ফিরছেন শাহ ফয়জল।