সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ভাল রকমের ধাক্কা খেল শাহিনবাগের (Shaheen Bagh) বিক্ষোভকারীরা। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, বিক্ষোভের নামে সরকারি জায়গা বা সরকারি রাস্তা এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য দখল করে রাখা যায় না। বিক্ষোভ দেখানো নাগরিকদের অধিকার, কিন্তু সেজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতিসাধন করা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, গতবছর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) পাশ হওয়ার পর দেশজুড়ে বহু মানুষ এর বিরোধিতায় সরব হন। আর CAA বিরোধী সেই আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিল শাহিনবাগ। ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর মার্চ মাস পর্যন্ত সিএএ বিরোধী আন্দোলনে চলেছে রাজধানীর ওই অঞ্চলে। শাহিনবাগে হাজার হাজার সংখ্যালঘু মহিলা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনাতেও বসেন। শেষমেশ করোনা পরিস্থিতির জন্য সেই ধরনা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু প্রতীকী আন্দোলন এখনও চলছে। শাহিনবাগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানী দিল্লির (Delhi) বুকে হিংসার আগুনও জ্বলেছে।
[আরও পড়ুন: নির্ভয়ার ধর্ষকদের ‘কুখ্যাত’ আইনজীবীই এবার মামলা লড়বেন হাথরাসের অভিযুক্তদের হয়ে]
এ নিয়ে বহু রাজনৈতিক টানাপড়েনও হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যেই কেউ কেউ বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন। আবার এই বিক্ষোভ নিয়ে আদালতেও এতদিন অবধি মামলা চলছিল। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে,”শাহিনবাগ হোক বা অন্য যে কোনও জায়গা। এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য সরকারি জায়গা বা রাস্তা দখল করে রাখা যায় না। প্রশাসনের উচিত ছিল আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি না চালিয়ে, নিজে থেকে ব্যবস্থা করা।” আদালত বলছে, অনেক আগেই দিল্লি পুলিশের উচিত ছিল শাহিনবাগ এলাকা খালি করে দেওয়া। তবে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিক্ষোভ তাঁরা বন্ধ করতে চান না। এটা গণতন্ত্রেরই অংশ। তবে, বিক্ষোভ হওয়া উচিত নির্দিষ্ট স্থানে। সরকারি জায়গায় নয়।