স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: চলতি সপ্তাহেই মহারাষ্ট্রে প্রবেশ করবে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে এতদিন দক্ষিণ ভারতে নিজের ‘কমফোর্ট’ জোনে ছিলেন রাহুল। মহারাষ্ট্র থেকেই তাঁর আসল পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষার শুরুতেই হোঁচট খেতে পারেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
মহারাষ্ট্রে রাহুলের যাত্রায় দুই হেভিওয়েট জোটসঙ্গী শরদ পওয়ার (Sharadh Pawar) এবং উদ্ধব ঠাকরে যোগ দেবেন কিনা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। মঙ্গলবার কংগ্রেসের যাত্রা প্রবেশ করেছে হায়দরাবাদে। সেখানে যোগ দিয়েছেন নতুন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও। আগামী দু’দিন তেলেঙ্গানাতেই থাকবেন রাহুল। শুক্রবার বিরতি। শনিবার তাঁর যাত্রা প্রবেশ করবে মহারাষ্ট্রে (Maharastra)। মারাঠাভূমে উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ারেরও হাঁটার কথা ছিল ভারত জোড়ো যাত্রায়। তবে সোমবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হওয়ায় এনসিপি সুপ্রিমো আদৌ পওয়ার যাত্রায় অংশ নিতে পারেন কি না, সেই নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। ওদিকে এখনও পর্যন্ত সবুজ সংকেত আসেনি উদ্ধব ঠাকরের তরফেও। যা কংগ্রেস নেতৃত্বের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহারাষ্ট্রে সমমনস্ক দুই নেতাকে যদি পাশে না পাওয়া যায়, তা হলে বিরোধী ঐক্য নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠে যাবে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
[আরও পড়ুন: একটানা লকডাউনে জীবন বিপর্যস্ত, বাপি লাহিড়ীর ‘জিমি জিমি’ গানে অভিনব প্রতিবাদ চিনা নাগরিকদের]
একদিকে যখন কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরের উদ্দেশে চলছে কংগ্রেসের (Congress) মূল ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’, সেই সময় ওড়িশা ও অসমে রাজ্যস্তরেও আলাদা করে যাত্রা শুরু হল। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) প্রয়াণ দিবসে ভুবনেশ্বরে শুরু হয়েছে। যা ওড়িশার ২৪টি জেলার ২,২৫০ কিলোমিটার পথ প্রদক্ষিণ করবে। মৃত্যুর ঠিক আগের দিন ভুবনেশ্বরে যেখানে শেষ জনসভা করেছিলেন ইন্দিরা, সেখানে শেষ হবে যাত্রা। মঙ্গলবার অসমে শুরু হয়েছে একই ধরনের যাত্রা। যা রাজ্যের ৮৩০ কিলোমিটার পথ প্রদক্ষিণ করবে।
[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের আগে ৫ কোটিরও বেশি লেনদেন, তেলেঙ্গানার বিজেপি প্রার্থীকে নোটিস কমিশনের]
এদিকে ভারত জোড়ো যাত্রার মাঝে রাহুল ঘোষণা করেছেন, মোরবির সেতু ভাঙা নিয়ে কোনও রাজনীতি তিনি করবেন না। সোমবার দুপুরে তেলেঙ্গানার কোথুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সেখানেই উঠে আসে মোরবির সেতু বিপর্যয় ইস্যু। জবাবে রাহুল বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা এই নিয়ে কোনও রাজনীতি করতে চাই না। এলাকার প্রত্যেক কংগ্রেস কর্মীর কাছে অনুরোধ, নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকুন।” একই ধরনের বার্তা দেন নবনির্বাচিত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও (Mallikarjun Kharge)। তিনিও কর্মী-সমর্থকদের উদ্ধারের কাজে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়ে এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন।