সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে নিকোবরে ইতিহাস গড়ল কমিশন। তাঁদের উদ্যোগে স্বাধীনতার ৭ দশক পর প্রথম দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিল নিকোবরের শম্পেন জনজাতিরা। ৭ দফার লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর কমিশনের সাফল্য তুলে ধরে সাংবাদিক বৈঠক করেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সেখানেই এই তথ্য প্রকাশ্যে আনেন তিনি। শম্পেন উপজাতিদের পাশাপাশি প্রায় দেশের বহু জায়গায় মানুষ প্রথম নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, 'শহরের চাকচিক্যে নজরে আসে না দেশের জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষরা। কিন্তু এই গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ নিয়েছেন বিপুল সংখ্যায় আদিবাসী জনজাতির মানুষ। এই প্রথমবার ভোটদান করেছেন নিকোবরের (Nicobar Islands) শম্পেন জনজাতি সম্প্রদায়ের (Shompen Tribe) মানুষরা। ভোট উৎসবে তাঁদের অংশগ্রহণের ছবি আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে তুলে ধরেছি। এছাড়াও দেশের ১২৬টি গ্রাম ও ১৯৯টি বিচ্ছিন্ন এলাকায় এই প্রথমবার ভোটগ্রহণ হয়েছে। ছত্তিশগড়ের সরগুজার ১০০টি পোলিং বুথে প্রথমবার ভোট গ্রহণ হয়েছে। পাহাড়ি এলাকাগুলিতে ৮৮ শতাংশ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। যা আমাদের কাছে অন্যতম সাফল্যের বিষয়।'
[আরও পড়ুন: ‘রিফর্ম-পারফর্ম-ট্রান্সফর্ম’, ধ্যান শেষে উন্নত ভারতের কোন রূপরেখা আঁকলেন মোদি?]
যদিও এর মধ্যে আলাদাভাবে তারিফযোগ্য হল বিপন্নপ্রায় শম্পেন উপজাতিদের ভোটাধিকার প্রয়োগ। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, নিকোবরের শম্পেন জনজাতির জনসংখ্যা ২২৯। তাঁদের মধ্যে ৯৮ জন ভোটার। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এঁদের মধ্যে ভোটদান করেন ৭ জন। ভোট দানের আগে তাঁদের ইভিএম ও ভিভিপ্যাট নিয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। ভোট দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের তরফে তৈরি করা সেলফি জোনে ভোটার কার্ড হাতে ছবি তুলতেও দেখা যায় তাঁদের।
[আরও পড়ুন: অবিলম্বে যমুনা রিভার বোর্ডের বৈঠকের নির্দেশ, দিল্লির জল সংকট মেটাতে আসরে সুপ্রিম কোর্ট]
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন ওঙ্গে ও গ্রেটার আন্দামানিজ জনগোষ্ঠীর ভোটাররা। এবারও ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেখা যায় তাঁদের। এছাড়া, এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত টোটোপাড়া। ভুটান পাহাড়ের কাছে অবস্থিত এই টোটো পাড়ায় বাস বিপন্নপ্রায় টোটো জনগোষ্ঠীদের। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে লাগাতার চলতে থাকা মাওবাদ বিরোধী অভিযানে সাফল্যের পর ছত্তিশগড়ের একাধিক মাও অধ্যুষিত গ্রামে প্রথমবার হয় ভোটগ্রহণ।