shono
Advertisement

অসন্তোষ দমাতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অপব্যবহার নয়, বলছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড়

অর্ণব গোস্বামী বনাম রাষ্ট্র মামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন বিচারপতি।
Posted: 12:00 PM Jul 13, 2021Updated: 02:10 PM Jul 13, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিন্নমত পোষণ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ যে কোনও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার নাগরিকদের অন্যতম অধিকার। সম্প্রতি সেই অধিকারই খর্ব করা হচ্ছে বলে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। এহেন সময়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (Dhananjaya Yeshwant Chandrachud)। তাঁর কথায়, “অসন্তোষ দমাতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অপব্যবহার উচিত নয়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: Coronavirus: ১১৮ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, স্বস্তি অ্যাকটিভ কেসেও

সোমবার আমেরিকা ও ভারতের আইনি সম্পর্ক নিয়ে অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা সভায় বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “অসন্তোষ দমাতে বা নাগরিকদের হেনস্তা করতে সন্ত্রাস বিরোধী আইন-সহ ফৌজদারি আইনের অপব্যবহার করা উচিত নয়। অর্ণব গোস্বামী বনাম রাষ্ট্র মামলায় আমি যে রায় দিয়েছি সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় আদালতকেই প্রতিরক্ষার প্রণালীর প্রথম দেওয়াল হয়ে কাজ করতে হবে।” ‘Indo-US Joint Summer’ কনফারেন্সে চন্দ্রচূড় আরও বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হওয়ার সুবাদে বৈচিত্রময় সংস্কৃতি, বিভিন্ন সামাজিক মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে ভারত। মানবাধিকারের প্রতি গভীর সম্মান ও দায়বদ্ধতা প্রকাশ করে ভারতীয় সংবিধান।” বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, পরোক্ষে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সরাসরি অভিযোগ না করলেও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের যে অপব্যবহার হচ্ছে, তা ইঙ্গিতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছর পি ডি দেশাই মেমোরিয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ভিন্নমত কীভাবে প্রকাশ করবেন, সেটাও জানতে হবে। গণতন্ত্রে ভিন্নমত ‘সেফটি ভালভ’-এর কাজ করে। প্রশ্ন ও বিরোধিতা করার পথ বন্ধ করে দিলে রাজনৈতিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বৃদ্ধির পথ বন্ধ হয়ে যায়। ভারত বহুত্ববাদের উপরে ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল। তাই এখানে জাতীয় ঐক্যের অর্থ হল, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বোধের মেলবন্ধন ও সংবিধানের আসল উদ্দেশ্যগুলির প্রতি বিশ্বস্ত থাকা। বাকস্বাধীনতাকে রক্ষা করাই রাষ্ট্রের কাজ হওয়া উচিত। আতঙ্ক ছড়িয়ে বা দমনপীড়নের মাধ্যমে এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হলে রাষ্ট্রের উচিত সেই চেষ্টার বিরোধিতা করা। মনে রাখতে হবে আমাদের সংবিধান রচয়িতারা হিন্দু বা মুসলিম ভারতের ভাবনাকে স্বীকার করেননি। কেবল প্রজাতান্ত্রিক ভারতের ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তাই আলাদা আলাদাভাবে হিন্দু ভারত বা মুসলিম ভারত বলে কিছু নেই। এই ধরনের চিন্তা করাও বোকামি।

[আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ব্যবস্থা! দলত্যাগ রুখতে কঠিন আইন আনছে কেন্দ্র, ইঙ্গিত স্পিকারের

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement